দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টস অব বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চ কাউন্সিল (সিবিসি) গত ১০ জুন ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ শীর্ষক বাজেট পরবর্তী আলোচনা’ শিরোনামে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। শফিক এন্ড বসাক কো: এর সিনিয়র পার্টনার জনাব সম্পদ কুমার বসাক, এফসিএ সেমিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআরসি’র চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ আরিফ, এফসিএ, এফসিএমএ। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিএমএবি, বাংলাদেশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং ইসলামী ব্যাংক এর এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো: সেলিম উদ্দিন এফসিএ, এফসিএমএ।
সেমিনারে ড. সেলিম ঘোষিত ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৭শত ৮৫ কোটি টাকার এ বাজেটকে বাংলাদেশের এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ আকৃতির বাজেট বলে আখ্যায়িত করেন। অতপর তিনি বর্তমান সরকারের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পূর্ববর্তী বছরের সাফল্যের নিরিখে এই বিশাল আকারের বাজেটও এ সরকারের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব মর্মে মন্তব্য করেন। ঘোষিত বাজেট বাস্তবায়নে মোট ৫ লক্ষ ৩ হাজার ৯শ কোটি টাকা আয় এবং ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮শ ৮৫ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের মাধ্যমে সংস্থানের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে তিনি তথ্য দেন। ড. সেলিম বর্তমান উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর কর্তৃক রাজস্ব আয় বিগত বছরের সমান ৪ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকায় বহাল রাখার প্রশংসা করেন। এরপর তিনি বর্তমানে দেশে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের হার অনেকটা স্বস্তিদায়ক উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে বহুসংখ্যক দেশ রয়েছে যাদের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ মোট জিডিপি’র সমান বা তার চেয়েও বেশি। তারপরও এসব দেশে অর্থনৈতিক কোন অচলাবস্থা তৈরি হয়নি।
আলোচনায় ড. সেলিম রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভোগ্যপণ্যসহ মূলধনী যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ইত্যাদির দাম বৃদ্ধি এবং ডলার সংকটের ফলে রিজার্ভে চাপ বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এই বাজেটের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অগ্রাধিকারমূলক মেগা প্রজেক্টে বরাদ্দ, সরকারি ব্যয় হ্রাস, বিলাসী পণ্যের আমাদানি নিরুৎসাহিত করাসহ বিভিন্ন ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার উপর চাপ কিছুটা যেমন কমেছে তেমনি প্রণোদনা ঘোষণার ফলে রেমিট্যান্সের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে যা অনেকটা স্বস্তিদায়ক। সেমিনারে আইসিএমএবি, বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।