ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

কঙ্কালে জড়ানো শার্ট দেখে স্বামীকে শনাক্ত

ষ্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-02-21, 12.00 AM
কঙ্কালে জড়ানো শার্ট দেখে স্বামীকে শনাক্ত

নুরুল ইসলাম গাজী (৫০) রাজধানীর মিরপুর রূপনগরের বাসিন্দা গত নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি পর তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী রহিমা বেগম (৪০) রূপনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।সাধারণ ডায়েরি করার পর থেকে নুরুলের খোঁজে অভিযান চালায় পুলিশ। জিডির প্রায় আড়াই মাস পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপহরণ মামলা এবং তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও তখনও নুরুলের সন্ধান পায়নি পুলিশ।

তবে ঘটনার মোড় ঘুরে জিডির হওয়ার প্রায় তিন মাস পর শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রূপনগর বেড়িবাঁধের পাশে সাদ ফিলিং স্টেশনের পেছন থেকে এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায়।

রূপনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কঙ্কালটি উদ্ধারের পর পরেই পুলিশ ধারণা করে নিখোঁজ নুরুল ইসলাম গাজীর হতে পারে। পরে রহিমা বেগমকে কঙ্কালটি দেখালে কঙ্কালের জড়ানো শার্টটি দেখে তিনি স্বামীর মরদেহ বলে শনাক্ত করেন।

নুরুল ইসলাম গাজী ও রহিমা বেগম মিরপুরের রূপনগর থানার বাসিন্দা। তাদের একটি ছোট মুদির দোকান আছে। এই মুদির দোকান দিয়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করতেন।

রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, নুরুল ইসলাম গাজী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেছি। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় তার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। তার স্ত্রী রহিমা স্বামীর পরিচয় শনাক্ত করেছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নুরুল ইসলাম গাজীকে হত্যা করা হয়েছে কিনা এটি বের করার আগে নিশ্চিত হতে হবে কঙ্কালটি তার কিনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও রহিমা বেগম কঙ্কাল থাকা কালচে রঙের শার্টটি দেখে নিশ্চিত করেছেন এটি তার স্বামীর কঙ্কাল। তবে শুধু এই এক উপায়ে কোনোভাবেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না এটি নুরুল ইসলামের কঙ্কাল। শনিবার ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইম সিনের টিম এসে নমুনা নিয়ে গেছে, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া যাবে কঙ্কাল কার।

এদিকে রূপনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, নুরুল ইসলাম গাজী ও অপহরণ মামলার চার আসামি স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। পরে নুরুল ইসলাম গাজী মাদক ব্যবসা ছেড়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে রূপনগর এলাকায় একটি মুদির দোকান চালিয়ে জীবনযাপন করতেন। আর এতেই ওই চার আসামির সঙ্গে বিরোধ হয়ে নুরুল ইসলাম গাজীর। আর এই বিরোধের জের ধরে তাকে ওই চারজন হত্যা করে থাকতে পারে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে।কঙ্কালটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।