পটুয়াখালীতে একই সময় অজ্ঞাত বিষাক্ত গ্যাসে জহির-মেহেরুন নার্সিং কলেজের তিনটি ভবন হোস্টেলে একজন শিক্ষকসহ ২৪ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদেরকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রাতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে শিক্ষক সিমাসহ ১৯ জন শিক্ষার্থী হোস্টেলে ফিরে গেলেও ৫ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে শ্বাসকষ্টে কাতরাচ্ছে।অসুস্থতরা হলেন সাথী (২৫) দ্বিতীয় বর্ষ, মিম(২০) ১ম বর্ষ, মেহেরুননেছা মৌ(২০) ২য় বর্ষ, সাওদা(২০) ২য় বর্ষ, পুর্নিমা(২১) ২য় বর্ষ।প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া ১৯ জন হচ্ছেন- শারমিন, স্বপ্না, জুথি, কাওসার, জেবুননেছা, অন্তরা, দিপিকা, সিনহা, ফয়সাল, নাসরিন, আইরিন, লিমা, মারজানা, সাদিয়া, রাবেয়া, সুমাইয়া, স্বর্ণা ও মুন্নী।
পটুয়াখালী জেলা শহরের কলাতলা বাজার এলাকাস্থ জহির- মেহেরুননেছা নাসিং কলেজের চেয়ারম্যান মেহেরুননেছা সুমি জানান, সোমবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে একই সময় কলেজের তিনটি হোস্টেলে অজ্ঞাত বিষাক্ত গ্যাসে একজন শিক্ষকসহ ২৪ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে নিকটস্থ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ১৯ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে হোস্টেলে ফিরে যায়। বাকি ৫ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি আছে। রাতে সদর উপজেলার ইউএনও, সদর থানার ওসি এবং কলেজের অধ্যক্ষ হাসপাতালে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জহিরুল ইসলাম, হাসপাতালে চিকিৎসারত শিক্ষার্থীদের টাইম টু টাইম খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
কলেজের চেয়ারম্যান মেহেরুননেছা সুমি ঘটনার বিষয় জানান, একই সময় তিনটি ভবনের তিনটি ছাত্রাবাসে অজ্ঞাত বিষাক্ত গ্যাস ছড়ানো এটা একটা ষড়যন্ত্র। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।