সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাবেন। এর আগে আগামী জুলাই মাসে আওয়ামী লীগের একটা প্রতিনিধি দলকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ করেছে বিজেপি।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন। বুধবার (২৪ মে) রাজধানীর তেজগাঁও সড়ক ভবনের চীফ ইঞ্জিনিয়ার কনফারেন্স হলে 'বারৈয়ারহাট- হেঁয়াকো- রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য দেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সফরের মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের পার্টি টু পার্টি কন্টাক্ট হবে। সেটা ভারতের বিজেপি আমাদের ইনভাইট করেছে। আমরা আশা করছি জুলাই মাসে আওয়ামী লীগের একটা প্রতিনিধি দল ভারতে যাবে। আমাদের মধ্যে পার্টি টু পার্টি কন্টাক্ট হচ্ছে মূলত যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় করার জন্য।ভারতের লাইন অফ ক্রেডিটের (এলও সি) মাধ্যমে বাংলাদেশে ১১০০ টি বিআরটিসি বাস আসছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের জন্য সুখবর যে, এ বছর নভেম্বরের মধ্যে নতুন করে ১০০ ইলেকট্রিক ডাবল ডেকার এসি বাস আনার কথাবার্তা হচ্ছে এলওসি'র আওতায়। আমরা আশা করছি আমাদের বিআরটিসি বহর আরও সমৃদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, যদিও রাজনৈতিক আন্দোলন বিআরটিসি বাসের জন্য সমস্যা। গতকাল কি সুন্দর দুটা বিআরটিসি গাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। একটাতে ভাঙচুর করা হয়েছে অন্যটাতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভারত যে বিআরটিসি সুন্দর গাড়িগুলো পাঠিয়েছে মাঝেমধ্যে সেগুলো হামলার শিকার হয়।ভারত যদি বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করে তাহলে বিনিয়োগের জন্য আমাদের অন্য কারো কাছে যেতে হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমাদের রোড কানেক্টিভিটি এবং রেল সেক্টরে দুই দিক থেকেই কানেক্টিভিটি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। পাশাপাশি আরও নতুন নতুন দুয়ার উন্মোচিত হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে এবং লেনদেন বেড়েছে। এরফলে উভয় দেশই লাভবান হয়েছে। এই কথাগুলো আমাদের আজ স্বীকার করতে হবে। আমি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই আমাদের নিজের স্বার্থে, আমাদের জাতীয় স্বার্থে এবং আমাদের উন্নয়নের স্বার্থে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো ইসহাক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি চট্রগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নাজিবুল বশর মাইজভান্ডারি প্রমূখ।