সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ৩৪ হাজার ৫৬৪ জন। এদের মধ্যে মাত্র ৪১ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন: জ্বর, টিকা দেওয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে।
আর এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২০ লাখ ৮২ হাজার ৮৭৭ জন। এদের মধ্যে মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৫৭৮ জনের। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ৩৪ হাজার ৫৬৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৪৫ হাজার ২৮০ জন ও নারী ৮৯ হাজার ২৮৪ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগে ৬৯ হাজার ৮৫৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ হাজার ৪৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৩ হাজার ৬৩৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৭ হাজার ২৪৭ জন, রংপুর বিভাগে ২১ হাজার ২৮৪ জন, খুলনা বিভাগে ২৮ হাজার ৩৫৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ হাজার ২৮৮ জন ও সিলেট বিভাগে ১৩ হাজার ৮৫১ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।
করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এদিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন ও নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট দুই হাজার ৪০০টি টিম কাজ করবে।
এছাড়া টিকা বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য টিম প্রস্তুত রয়েছে সাত হাজার ৩৪৪টি। আপাতত দুই হাজার ৪০০ জনকে দিয়ে রোববারের (২১ ফেব্রুয়ারি) কর্মসূচি শুরু হয়েছে।