পরীক্ষার ফল নিয়ে খুব আগ্রহী ছিল সে। পরীক্ষা দিয়ে আসার পর বাবা-মাকে কিশোরী জানিয়েছিল, সে ৯০ শতাংশের বেশি পাবেই। ২ দিন আগেই দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে রাজস্থানে। ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, কিশোরী ৯১ শতাংশ পেয়েছে। গণিতে পেয়েছে ১০০। কিন্তু এই ফল দেখে যেতে পারল না সে। তার আগেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কিশোরীর।গুঞ্জন মারাঠা। বয়স ১৭। রাজস্থানের বুন্দি জেলার কিশোরী এ বছর দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষা দিয়েছিল। অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অভিভাবক এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছে জানিয়েছিল, তার পরীক্ষার ফল ভালই হবে। ৯০ শতাংশের উপর পাবে। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল বান্ধবীর স্কুটিতে চেপে টিউশন পড়তে যাচ্ছিল গুঞ্জন। একটি ট্র্যাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তার।কন্যা তাঁদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেই নম্বরই পেয়েছে। কিন্তু সেই ভাল নম্বরেও মুখে হাসি ফোটেনি গুঞ্জনের মা-বাবার। তাঁদের কথায়, “মেয়ে দেখে যেতে পারল না। আজ বেঁচে থাকলে ও প্রচণ্ড খুশি হত। কিন্তু আজ সে আমাদের ছেড়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছে।” মেয়ের স্মৃতি হাতড়াতে হাতড়াতে কেঁদে ফেলেছিলেন দু’জনই। কন্যার মার্কশিট বুকে আঁকড়ে ধরে সমানে কেঁদে চলেছিলেন গুঞ্জনের মা গায়ত্রী।গুঞ্জনের বাবা মুকেশ অটো চালিয়ে সংসার চালান। গুঞ্জনের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, শৈশব থেকেই পড়াশোনায় ভাল গুঞ্জন। দ্বাদশ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সকলকে বলেছিল, ৯০ শতাংশের বেশি পাবে। কিন্তু সেই ফল আর দেখা হল না তার।