ঢাকা, মঙ্গলবার ৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

নোয়াখালীতে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক মারা গেছেন

ষ্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-02-20, 12.00 AM
নোয়াখালীতে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক মারা গেছেন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৫) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার দিনগত রাত পৌনে একটার দিকে আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান তিনি।তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আলাউদ্দীন জানান, শুক্রবার দিনগত রাতে বোরহানউদ্দিনকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তির পরপরই তার অবস্থা খারাপ থাকায় আইসিইউতে নেওয়া হয়। তার গলায় ছড়াগুলির আঘাত ছিল। নিহত মুজাক্কির উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা।

তিনি দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুযারি) রাত ৮টার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা পাঠানো হয়।

এর আগে, বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন।

স্থানীয়রা জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিলে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর জের ধরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল অভিযোগ করেন, আবদুল কাদের তার ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। এ অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন বাদল।  

পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশিরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আবদুল কাদের মির্জা এলে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আহত হন দু’পক্ষের অন্তত ৩০ জন। আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।