ঢাকা, শনিবার ২০ই এপ্রিল ২০২৪ , বাংলা - 

খালেদা জিয়া‘নিবিড় পর্যবেক্ষনে’

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-04-30, 12.00 AM
খালেদা জিয়া‘নিবিড় পর্যবেক্ষনে’

এভারকেয়ার হাসপাতলে কেবিনে চিকিতসকদের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষনে’ খালেদা জিয়ার চিকিতসা চলছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ স্বাস্থ্যের অবস্থা জানাতে গিয়ে রোববার গণমাধ্যমকে তিনি একথা জানান।অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘ ম্যাডাম কেবিনে চিকিতসকদের তত্ত্বাবধায়নে নিবিড় পর্যবেক্ষনে চিকিতসাধীন আছেন।”‘ গতকালকের চেয়ে আজকে উনার অবস্থা একই মতো আছে। বাট কিছুটাৃ যে চিকিতসা দেয়া হয়েছে তার পরবর্তিতে কিছুটা উনার উন্নতি হচ্ছে।”বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জয়াকে তার মেডিকেল বোর্ডে পরামর্শে গতকাল সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের বিশেষ চিকিতসক অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে তিনি চিকিতসাধীন আছে। অধ্যাপক সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিতসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড আগে থেকে তার এই চিকিতসা কার্য্ক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গতকাল ভর্তি হওয়ার পর মেডিকেল বোর্ডের একটি বৈঠক হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক জাহিদ।

তিনি বলেন, ‘‘ গতকাল ভর্তি হওয়ার পরে ম্যাডামের বেশি কিছু পরীক্ষা মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে করা হয়েছে। ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট আসা শুরু করেছে। মেডিকেল বোর্ড আজকে(রোববার) সন্ধ্যায় কোনো একটা সময়ে বসবেন এবং রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে উনার পরবর্তি পর্যায়ে যে চিকিতসা দেয়া প্রয়োজন তা করবেন। তবে প্রাথমিকভাবে মেডিকেল বোর্ড গতকাল একদফা বসে যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার সেটা নিয়েছেন। সকাল বেলাও বোর্ডের কয়েকজন সদস্য উনার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেছেন।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ উনার কিছু অসুস্থতা ছিলোৃ যার জন্যে নিয়মিত চেকআপের পাশাপাশি কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছিলো। যার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী তাকে এখানে নিয়মিত চিকিতসা দেয়া হচ্ছে, সেই চিকিতসাতে উনি মোটামুটি রেন্সপনস করছেন।”

হাসপাতালে খালেদা জিয়া কয়দিন থাকতে পারেন জানতে চাইলে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘‘এটা মেডিকেল বোর্ডের ডিসিশনের ওপর নির্ভর করবে, উনার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। কাজেই এই মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।

৭৭ বছর বয়েসী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভারসহ নানা রোগে ভোগছেন। অসুস্থতার মধ্যে গুলশানে ‘ফিরোজা‘য় চিকিতসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষনে তার চিকিতসা চলছিল। পরে তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে গতকাল এভারকেয়ারে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন।

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘ রোগীর অসুস্থতা সম্পর্কে মিডিয়াতে বলা ঠিক না। খালি এইটুকু জানানো যেতে পারে যে, উনার কিছু শারীরিক অসুস্থতা, উনার হার্টের জটিলতা, উনার লিভারের জটিলতা, উনার কিডনির জটিলতা –এগুলো ছিলো, আছেৃ আপনার জানেন। সেগুলোর কোনো কোনোটা একটু বৃদ্ধি পেয়েছিলো সেজন্য উনার চেকআপ ও চিকিতসার জন্য উনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, ‘‘ উনি কেবিনেই আছেন। কিন্তু কেবিনে উনার জন্য স্পেশালিস্ট এমআইএসটি নার্স-ডাক্তার সাহেবরাৃ দেয়ার টেকিং কেয়ার অফ। কেবিনে মানে এমনি শুয়ে থাকার তা না। সি ইজ আন্ডার স্ট্রিক সুপারভেশন।”

জাহিদ জানান, অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিতসকরা হচ্ছেন, অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক নুর উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিন, অধ্যাপক শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক জিয়াউল হক এবং অধ্যাপক সাদেকুল ইসলাম।

এছাড়া লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা. জোবাইদা রহমানসহ অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিতসক বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন বলে জানান তিনি।

এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষনিক দেখাশুনা করছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিনী শর্মিলা রহমান সিঁথি রয়েছেন। লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান সবসময় খোঁজ রাখবেন বলে জানান অধ্যাপক জাহিদ।

সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।