ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

কড়া তল্লাশি শুরু ঈদযাত্রীদের

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-04-17, 12.00 AM
কড়া তল্লাশি শুরু ঈদযাত্রীদের

ঢাকা: রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হলো ঈদযাত্রা। সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়।নির্ধারিত সময় ছিল ৬টায়।  এবারের ঈদযাত্রায় ট্রেন পর্যন্ত পৌঁছাতে যাত্রীদের পেরোতে হচ্ছে কয়েক স্তরের তল্লাশি। এতে অধিকাংশ যাত্রী সন্তুষ্ট থাকলেও  অনেকেই জড়াচ্ছেন বাগবিতণ্ডায়, শাসাচ্ছেন ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারদের (টিটিই)।  সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনের শুরুতে রয়েছে বাঁশের তৈরি জিগজ্যাক পাঁচটি গেট। এতে পাঁচজন টিটিই যাত্রীদের টিকিট ও এনআইডি চেক করছেন। তাদের কাজে সহায়তা করছেন রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আএনবি) সদস্যরা।  

দ্বিতীয় চেকিং হচ্ছে টিকিট কাউন্টারের সামনের অংশে, সেখানে রয়েছে তিনটি গেট। সবশেষে মেইন গেটে প্রবেশপথে সন্দেহভাজনদের তৃতীয় চেকিং করা হচ্ছে।  পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) মেশিন ব্যবহার করে টিকিট চেকিং ও এনআইডি মিলিয়ে দেখার কাজটি অতি দ্রুত করছেন টিটিইরা। তাদের এই কাজে সর্বোচ্চ ১০-২০ সেকেন্ড সময় লাগছে। এমনই কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে যাত্রীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে প্লাটফর্মে।

সকাল পৌনে ৮টার দিকে প্রথম চেকিংয়ে একই পরিবারের চার আসনের যাত্রী আসেন। তবে যার নামে টিকিট, তিনি ওই চারজনের কেউ নন। এতে টিটিইরা তাদের আটকে দেন। টিটিইকে শাসান মন্ত্রীর পিএসকে কল করবেন বলে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পরিচয় দেওয়া সেই যাত্রী বলেন, আমার আইডি (রেলওয়ের সার্ভারে রেজিস্টার্ড আইডি) নষ্ট বলে ভাইয়ের আইডি দিয়ে কাটা টিকিট। আমি কেন এটা দিয়ে যেতে পারব না। টিকিট কাটা আছে যশোর পর্যন্ত, কিন্তু আমরা যাবো টাঙ্গাইল। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তিনি বলেন, মন্ত্রীর পিএকে কল দেব?

এ সময় তার সঙ্গে থাকা অন্যজন বলেন, এতো কড়াকড়ি হলে চলবে? ধীরে ধীরে কড়াকড়ি করতে হবে। টিটিই তাদের বলেন, এই চার আসনের কারও একজনের সঙ্গে যদি এনআইডি মিলতো, তবুও যেতে দিতে পারতাম। কিন্তু আপনাদের কারও সঙ্গে আইডি মেলেনি। তাই আপনাদের যেতে দিতে পারব না। কারণ, অন্য কেউ যদি টিকিট ও এনআইডি শো করে, তাকে যেতে দিতে বাধ্য আমি। তখন কী করবো?কর্তব্যরত এক টিটিই বলেন, প্রায় ৯৫ শতাংশ যাত্রীর টিকিটের সঙ্গে এনআইডির মিল আছে। ৫ শতাংশ যাদের মিল নেই, তাদের আমরা ফেরত পাঠাচ্ছি। আমাদেরকে এভাবেই নির্দেশনা দেওয়া আছে।

ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সফিকুর রহমান বলেন, স্টেশনে প্রবেশের জন্য একজন যাত্রীকে কয়েক স্তরের চেকিং সম্পন্ন করতে হচ্ছে। যারা সত্যিকারের টিকিটের যাত্রী তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। যারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছেন, তারা হয়তো অসুবিধায় পড়েছেন।