ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

ট্রাফিক পুলিশকে ঘুস দিতে গিয়ে বিপাকে

জেলা প্রতিনিধি।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-03-25, 12.00 AM
 ট্রাফিক পুলিশকে ঘুস দিতে গিয়ে বিপাকে

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে বরিশাল জেলা ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই রাসেদুল হাসানকে ঘুসের টাকা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ে বাকেরগঞ্জ বটতলা এলাকার অটোরিকশাচালক হারুন।শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল ১১ টায় বাসস্ট্যান্ড মহাসড়কের মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পার্কিং করে যাত্রী তুলছিলেন অটোচালক হারুন। ট্রাফিক আইন না মেনে সড়কের মধ্যে অবৈধভাবে অটো গাড়ি পার্কিং করায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব থাকা কর্মরত অবস্থায় এটিএসআই রাসেদুল আটো চালক হারুনকে রাস্তার পাশে যাত্রীছাউনিতে ডেকে নিয়ে জানতে চায় রাস্তার মধ্যে এইভাবে ব্যাটারিচালিত অটো পার্কিং করার অনুমতি কে দিয়েছেন। অটোচালক হারুন তখন ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই রাসেদুলকে ৯ ০০ টাকা পকেট থেকে বের করে তার হাতে দিতে চান। মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা রাশেদুল অটোচালককে বলেন কত টাকা এখানে। আর আমাকে কেনইবা টাকা দিতে চান? অটো চালক হারুন প্রশ্ন উত্তরে বলেন এখানে ৯০০ টাকা রয়েছে।

 

তখন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রাশেদুল হারুনকে বলেন, ৫০০ টাকা আপনার পকেটে রাখেন এবং বাকি ৪ শত টাকা নিয়ে আমার সাথে ফলের দোকানে চলেন।

 

ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রাসেদুল অটোচালককে বলেন, আপনি জানেন না রমজান মাসের আজকের প্রথম দিন। আমার মুখে দাড়ি মাথায় টুপি তারপরও কিভাবে আপনার সাহস হলো আমাকে ঘুসের টাকা দিতে। ঘুস দেওয়া নেয়া দুটোই সমান অপরাধ। আর কখনো কোনদিন কোন পুলিশ সদস্যকে ঘুষের টাকা দিবেন না। এরপর হারুনকে ফলের দোকানে নিয়ে ৪০০ টাকার ফল কিনে দেয় ইফতার করার জন্য। ঘটনার বিষয়টি পথচারীরা মোবাইফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

 

জানা যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার খলিসাখালি গ্রামের মো: গোলাম কবিরের ছেলে বরিশাল জেলা ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই রাসেদুল। রাসেদুল পটুখালী সরকারি কলেজে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় পুলিশের চাকরি পায়।

মানবিক পুলিশ সদস্য রাসেদুলের কাছে ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকার আমাদের বেতন দেয়। বেঁচে থাকার জন্য অনেক সম্পদের প্রয়োজন হয় না। ২০ বছর যাবত পুলিশের চাকরি করতেছি। পুলিশের চাকরি মানুষের সেবা করার জন্য। যারা ঘুস দেয় এবং নেয় উভয় সমান অপরাধী। তাই সকলকে আহ্বান জানান ঘুস দেওয়া-নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য।