দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে সাধারন মানুষ চোখে সরষে ফুল দেখছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, মাহে রমজানে রোজাদার ধর্মপ্রান মানুষের রোজা পালনের জন্য দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণী এখন সর্বহারা শেণীতে পরিনত হয়েছে। সরকার যখন গলা উচিয়ে দেশকে মধ্য আয়ের দেশ বলছে, তখন দেশে ধনী গরিবের শ্রেনী বৈসাম্য জ্যামিতিক হরে বাড়ছে। খোলা আকাশের নিচে লক্ষ লক্ষ মানুষ বসবাস করছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি লুটপাট ও অর্থপাচারের কারনে দেশে দুর্ভিক্ষময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সমাজের সর্বত্র হাহাকার বিরাজ করছে আর সরকার উন্নয়নের ঢেকুর তুলছে। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতির কারনে মুদ্রাস্ফীতি ও ডলার সংকট বেড়েই চলছে। ন্যায় বিচার, জবাবদিহীতা ও সুশাসনের অভাবে সোনার বাংলা আজ শ্মশানে পরিনত হয়েছে। সরকারের লুটপাট ও অর্থপাচারের খেসারত গুনছে দেশের সাধারন মানুষ। তাই খাই খাই রাজনীতি পরিহার করে অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি আজ বেলা ১১ টায় পুরানা পল্টন মসজিদ চত্বরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি ও যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফার সমর্থনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি-ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পুর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক হুমাউন কবিরের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, মানবাধিকার সংরক্ষন সংস্থার চেয়ারম্যান এডভোকেট জহুরা খাতুন জ্ইুঁ, দেশ বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপন, মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ডাঃ মাসুদ হোসেন, লেবার পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, যুব বিষয়ক সম্পাদক শওকত চৌধুরী, অর্থসম্পাদক রাসেল সিকদার, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা নাছিমা নাজনিন সরকার, ছাত্রমিশন সহ-সভাপতি মোঃ শুভ আহমেদ ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
পরে মিছিলটি পল্টন মোড়, তোপখানা রোড, বিজয়নগর, নাইটেংগেল মোড় হয়ে টেপা কমপ্লেক্স গিয়ে শেষ হয়।