২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী নির্বাচন যদি আজ হতো, তাহলে হয়তো চোখ বুজে টিকিট পেয়ে যেতেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ, দলটির বেশিরভাগ সমর্থকের কাছে এখনও ট্রাম্পই সবচেয়ে যোগ্য নেতা। সম্প্রতি পলিটিকো ও মর্নিং কনসাল্টের এক যৌথ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।মাত্র তিনদিন আগেই দ্বিতীয়বার অভিশংসন মামলায় খালাস পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বিরুদ্ধে গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনের দাঙ্গায় সমর্থকদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ক্যাপিটলে ট্রাম্প-সমর্থকদের তাণ্ডবের পরপরই দল ত্যাগ করেন হাজার হাজার রিপাবলিকান নেতাকর্মী। অন্য জরিপগুলোতে বেশিরভাগ মার্কিনি ট্রাম্পকে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
তবে মঙ্গলবার প্রকাশিত পলিটিকো-মর্নিং কনসাল্টের জরিপের ফলাফল বলছে, রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চান। অথচ ক্যাপিটল দাঙ্গার পরপরই করা জরিপে এর হার ছিল অন্তত ১৮ পয়েন্ট কম।
পলিটিকো-মর্নিং কনসাল্ট জানিয়েছে, ৫৪ শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার বলেছেন, তারা আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে ধনকুবের ট্রাম্পের পাশেই থাকবেন।
ক্যাপিটলের দাঙ্গায় রীতিমতো প্রাণনাশের হুমকিতে ছিলেন মাইক পেন্স। কারণ, ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে জো বাইডেনের কাছে ট্রাম্পের পরাজয় নিশ্চিত করেছিল তিনি। পলিটিকো-মর্নিং কনসাল্টের হিসাবে, আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকানদের দ্বিতীয় পছন্দ পেন্স। তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১২ শতাংশ মানুষ।
ভবিষ্যতের কাণ্ডারি হিসেবে শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্পই নন, রিপাবলিকানদের বিবেচনায় রয়েছেন তার ছেলে ট্রাম্প জুনিয়রও। এক্ষেত্রে ট্রাম্পপুত্রের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ছয় শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার।
অবশ্য একই পরিমাণ সর্মথন রয়েছে নিকি হ্যালিরও। সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক এ গভর্নর এবং জাতিসংঘের দূত ক্যাপিটল দাঙ্গার পর ট্রাম্পের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছিলেন।
প্রতিযোগিতায় রয়েছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মিট রমনেও। ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকানদের অন্যতম পছন্দ ছিলেন তিনি। ২০২৪ সালেও বর্তমান উটাহ সিনেটরকে লড়াইয়ে দেখতে চান চার শতাংশ ভোটার।এছাড়া, গত নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পের হারের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টায় সমর্থন জানানো টেক্সাসের টেড ক্রুজের পক্ষে রয়েছেন তিন শতাংশ রিপাবলিকান।