ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে থানায় ডেকে গ্রেফতার না করে চা চক্র, মাল ক্রোকের অর্ডার থাকলেও তার বাসায় গিয়ে ভোজ সেরে চলে এসে বিতর্কের মুখে বাকেরগঞ্জ থানার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে বাকেরগঞ্জ থানা থেকে ক্লোজড করে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।সেই আসামীর নাম শাহিন হাওলাদার। তার বাড়ি বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ভরপাশা গ্রামে। আর ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্য এএসআই ইন্দ্রজিত কুমার এদবর।
যদিও বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাকসুদুর রহমান ( ৮ ফেব্রুয়ারী দুপুর ২টায়) বলেন, এএসআই ইন্দ্রজিতকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করার বিষয় তিনি শুনতে পেরেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে এখনো কোন কাগজ হাতে পাননি।
জানা গেছে, গত ২ ফ্রেব্রুয়ারি এএসআই ইন্দ্রজিত কুমার এদবর বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ভরপাশা গ্রামের শাহিন হাওলাদার নামের একজন ওয়ারেনভুক্ত আসামিকে থানায় ডেকে এনেও গ্রেপ্তার না করে ছেড়ে দেয়। এমনকি ওই আসামির মালামাল ক্রোকের নির্দেশনা থাকলেও তিনি ৩ ফ্রেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত ১০ টায় ওই আসামীর বাসায় গিয়ে মালামাল ক্রোক না করে বিনিময় করে চলে আসেন।
এ বিষয়ে ৫ ফ্রেব্রুয়ারি বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় বাকেরগঞ্জ থানার এএসআই ইন্দ্রজিৎ কুমার এদবরের বিরুদ্ধে “ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে না ধরে অর্থ আত্মসাৎ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার ৭ ফ্রেব্রুয়ারি দুপুরে এএসআই ইন্দ্রজিতকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বিপিএম বাকেরগঞ্জ থানার এএসআই ইন্দ্রজিত কুমার এদবরকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন।