ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

বান্দরবানের র‌্যাব কেএনএফ গোলাগুলি

এস এম রমজান আলী, বান্দরবান প্রতিনিধি।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-02-08, 12.00 AM
বান্দরবানের র‌্যাব কেএনএফ গোলাগুলি

বান্দরবানের রুমায় রেমাক্রী পাংসা ইউনিয়নের দূর্গম রেমাক্রী ব্রীজ এলাকায় র‌্যাবের সাথে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও নব্য জঙ্গী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়েছে। এসময় র‌্যাবের ৮ সদস্য আহত এবং ৫ জঙ্গীকে আটক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।র‌্যাব ও আইনশৃংখলা বাহিনী জানায়, থানচি উপজেলার সীমান্তবর্তী রুমা উপজেলার রেমাক্রী পাংসা ইউনিয়নের দূর্গম রেমাক্রী ব্রীজ এলাকায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও নব্য জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আস্তানায় অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এসময় অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়ে। এসময় র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। থেমে থেমে গোলাগুলির ঘটনা এখনো চলছে। এসময় গোলাগুলিতে র‌্যাবের ৮ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জঙ্গীকেও আটক করা হয়েছে।

 

র‌্যবের কর্মকর্তারা জানান, নব্য জঙ্গী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সদস্যদের অর্থের বিনিময়ে পাহাড়ের দূর্গমাঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে জঙ্গী প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করে আসছে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। ইতিমধ্যে র‌্যাবের অভিযানে পাহাড়ের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি উপজেলা’সহ বিভিন্ন স্থান থেকে নব্য জঙ্গী সংগঠনের ৩৮ জন জঙ্গী সদস্য এবং পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর ১৪ জন সদস্যকে যৌথ বাহিনী বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে। গতমাসের ২৯ জানুয়ারী সেনাবাহিনীর সাথে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে নিহত ১ জন কেএনএফ সদস্যের লাশও উদ্ধার করা হয়েছে। আস্তানা থেকে পাওয়া গেছে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রও।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম পৃথক একটি রাষ্ট্র বানাতে পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে নব্য সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সদস্য ঘর ছাড়া নিখোঁজ তরুনরা।

 

প্রেসব্রিফিংয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন জানান, গতবছরের আগস্ট মাসে কুমিল্লা থেকে ৮ জন তরুন নিখোঁজ হন। তাদের স্বজনরা থানায় নিখোঁজ জিডির সূত্রধরে খুঁজতে গিয়ে তথ্যমিলে নিখোঁজ তরুনরা নব্য জঙ্গী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সদস্য হয়ে পাহাড়ে জঙ্গী প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতবছরের ১৩ই অক্টোবর থেকে পাহাড়ে জঙ্গী বিরোধী অভিযান শুরু করে।

 

অভিযানে ৩৮ জন জঙ্গী এবং পাহাড়ের সশস্ত্র গ্রুপ কেএনএফ’র ১৪ জন সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। চলমান অভিযানে মঙ্গলবার সকালে রেমাক্রী ব্রীজ এলাকায় অবস্থান নেয়া র‌্যাবের টিমের সাথে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও নব্য জঙ্গী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সাথে গুলি বিনিময় হয়েছে।

 

অভিযানে র‌্যাবের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জঙ্গী সদস্যকে আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জঙ্গী নির্মূল্যে ৮০% সফলতা পেয়েছি। জঙ্গী এবং সন্ত্রাসীদের সংখ্যাও আগের চেয়ে কমেছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। শতভাগ সফলতার পথেই আমরা এগুচ্ছি। জঙ্গীবাদ এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলমান থাকবে।

 

এসময় থানচিতে র‌্যাবের প্রেসব্রিফিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে র‌্যাবের মিডিয়া উইন খন্দকার আল মঈন, র‌্যাব কর্মকর্তা মশিউর’সহ র‌্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।