মাদারীপুরে এক হত্যা মামলার আসামি আউয়াল মাদবরকে ফ্লিম স্টাইলে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। নিহতের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আউয়াল মাদবর মাদারীপুর সদর উপজেলার উত্তর পাঁচখোলা গ্রামের কাশেম মাদবরের ছেলে। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার কালিকাপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হলে সাহেব আলী নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। সেই মামলায় আসামী ছিলেন আউয়াল মাদবর।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামের কাশেম মাদবরের ছেলে আউয়াল মাদবর গ্রামেই রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকানের ব্যবসা করত। শনিবার রাতে নিজ দোকানেই ছিলেন তিনি। রাতে তাকে দোকানের একটু দুরে ডেকে নেয়। পাশেই ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এসময় নিহতের হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এছাড়াও জবাই করার জন্য গলায় ছুড়ি চালায়। পরে দুর্বৃত্তরা মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। পরে ৫/৭ টি মোটরসাইকেল যোগে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁর চিৎকার শুনে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
নিহত আউয়াল মাদবরের ছোট ভাই নজরুল মাদবর জানান, চুন্নু, নান্নু, মামুন, আরমান, আলামিন, দেলোয়ারসহ ১০-১৫ লোক এসে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পরে তারা মোটরসাইলে করে পালিয়ে যায়। আমি এর বিচার চাই।
তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা এলাকা থেকে পালিয়েছে।মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সার্কেল মনিরুজ্জামান ফকির জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।