পটুয়াখালীর দশমিনায় ইউপি সদস্য রিপন কর্মকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দশমিনা সদর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের সাধারন জনগন। সোমবার ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সামনে দূস্থ্য অসহায় নারীরা এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে ইউপি সদস্যের অনুসারিদের হামলায় আব্দুর রহিম নামের একজন আহত হয়েছেন। আহত আব্দুর রহিম দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহত আব্দুর রহিম গত ১ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিচার দাবী করে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
জানা যায়, দশমিনা সদর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিপন কর্মকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সোমবার ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে ইউপি সদস্যের অনুসারিরা হামলা করে এবং জেরপূর্বক মানববন্ধনের ব্যানার টেনে হিচরে নিয়ে যায়। পরে লোকজন ছত্রভঙ্গ করে দেয়। হামলায় অব্দুর রহিম নামের একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত আব্দুর রহিম গত ১ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিচার দাবী করে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। মানববন্ধনের ব্যানারে উল্লেখ করেন, দশমিনায় গ্রামিণ নারীদের চরম দরিদ্র অবস্থা থেকে উত্তোরণে সরকার সহায়তা দান কর্মসূচির আওতায় ‘ভিডব্লিউবি’ তালিকায় অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের মাসে ৩০কেজি চাল প্রদান কর্মসূচিতে উকিল, সাংবাদিক, চালের ডিলার, স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও নিজের নামসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নাম অন্তর্ভূক্ত করে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে দশমিনা সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সমকাল পত্রিকার সরকারি সাংবাদিক দাবী করা রিপন কুমার কর্মকার এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল। এর পূর্বে গত ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় আব্দুর রহিম ও সাবেক মেম্বার বজলুর রহমান পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবরে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এবং অভিযোগের অনুলিপি দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদকের কাছে প্রেরন করেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, দশমিনা সদর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক রিপন কুমার কর্মকার ব্যপক অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। এ বিষয় তার সাথে সাধারন মানুষ কথা বলতে চাইলে হুমকি ধমকি ও ভয় ভিতি দেখিয়ে থাকেন। এছাড়াও ইউপি সদস্য হয়েও সরকারি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে রিপন কর্মকার বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি আর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়মনীতিহীন কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন। তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে পুলিশ প্রশাসনের লোক ব্যবহার করে ক্ষতি করেন। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, সরকারি সাংবাদিকের পরিচয় ব্যবহার করে রিপন কর্মকার এলাকায় এক আতঙ্কের নাম হয়ে দারিয়েছে। সে নিজেকে প্রভাবশালী সাংবাদিক দাবী করে এলাকায় দাবিয়ে বেড়ানোর ঘটনা ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ছাড়াও বহু স্বাক্ষী প্রমান রয়েছে। যার প্রমান গোপনে বা ওপেন তদন্ত করলেই পাওয়া যাবে। ওই তালিকায় উকিল, সাংবাদিক, জুয়েলারী (স্বর্ণ) ব্যবসায়ী এবং চালের ডিলারসহ প্রভাবশালী ও অধিকাংশ ধনী পরিবারের নাম অন্তর্ভূক্তি করা হয়েছে। এতে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত অসচ্ছল এবং দুঃস্থ নারীরা। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুমোদন আটকে দিয়ে অধিকতর তদন্ত শুরু করেন।