পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার প্রেম করে দশম শ্রেণীতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে, পরিনামে হলো করুণ মৃত্যু। মারিয়া আক্তার তন্বী (১৫) নামে ওই নববধূ স্কুল ছাত্রী হত্যা মামলায় স্বামী মিনহাজুল রহমান রাব্বি (২২) সহ ৪ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। মামলার প্রধান আসামী রাব্বির রিমান্ড শুনানী ৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার। অপর ৩ আসামী হলো- নিহত তন্বীর শ^শুর অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমান, শাশুড়ী শিরিন বেগম ও ননদ মাকসুদা আক্তার। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বসত ঘরে তালা ঝুলতে দেখা গেছে।
গত ২৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে নিহত তন্বীর ভাই মেহেদী হাসান (২৩) বাদি হয়ে রাব্বি, তার বাবা মুজিবুর রহমান, মা শিরিন বেগম ও বোন মাকসুদা আক্তার কে আসামী করে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ওই দিনই রাব্বি ছাড়া ওই ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। মেহেদী হাসান উপজেলার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের দুবাই প্রবাসি হাবিবুর রহমানের ছেলে।
মামলার পলাতক প্রধান আসামী নিহতের স্বামী মিনহাজুল রহমান রাব্বিকে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় শজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার কওে গত ১ ফেব্রুয়ারী বুধবার থানায় নিয়ে আসেন। ওই দিন বিকেলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এস আই জেন্নাত আলী আসামী রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেন। ৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রিমান্ডের শুনানীর দিন ধার্য রয়েছে বলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত তন্বীর চাচাতো ভাই ফোরকার হোসেন জানান, দশম শ্রেনীতে পড়–য়া তন্বী রাব্বির সাথে প্রেমে জড়িয়ে ঘটনার ৩ মাস আগে ঢাকায় পালিয়ে যায়। এদিকে তন্বীর মা শোক সইতে না পেরে স্টোক করে মারা যান। পরে ৩ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান শিকদার ও ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান মিলনের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি তাদের বিয়ে হয়। ঢাকায়ও তাদের বিয়ে হয়েছিলো। বিয়ের পরে বাড়িতে থেকে তন্বী তার ভাই কে মাঝে মধ্যে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতো। গত ২৩ সোমবার সকালে ভাইকে যেতে বললে, তন্বীর ভাই ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেনি। বিকেলে আবারও যেতে বললে তন্বীর ভাই যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। ৫টার দিকে তাকে বলা হয় হাসপাতালে যেতে। হাসপাতালে গিয়ে গিয়ে বোনের লাশ দেখতে পান। সোমবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মাঠবাড়িয়া থানা পুলিশ মারিয়া আক্তার তন্বী আক্তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠান।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মিনহাজুল রহমান রাব্বিকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নববধূ স্কুল ছাত্রী মারিয়া আক্তার তন্বীর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।