আরো জানা গেছে , এ অবস্থায় আতংকিত হয়ে গত (২৮জানুয়ারী) সন্ধ্যায় মারমা সম্প্রদায়ের ৫১ টি পরিবারের ১৪০জন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রুমা সদরে এসেছিলেন। রুমা সদরে মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে ৮ দিন আশ্রয় নেয়ার পর রোববার (৫ফেব্রুয়ারি) বিকাল তিনটায় তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়।তবে নিজ বাড়ি মুলপি পাড়ায় ফিরে গেলেও ওইসব মারমা সম্প্রদায়ের ১৪০ জন নারী-পুরুষ ও শিশুরা নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
সূত্রে জানা গেছে, মুলপি পাড়া উত্তর পূর্ব দিকে দুই কিলোমিটার দুরত্বে একটি বাগানে কেএনএফ সদস্যরা সেখানে অবস্থান করে থাকতে পারে, তাই নিজ ঘরে ফিরে যাওয়া মারমা সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে এখনও আতংক বিরাজ করছেন।
এদিকে মারমা ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে আশ্রয় নেয়া লোকজন নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার প্রাক্কালে তাদের নিয়ে রোববার এক উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নু ম্রাউ মারমা, মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সুইপ্রুচিং মারমা, রুমা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা ও অগ্রবংশ অনাথআলয় পরিচালক উ নাইন্দিয়া ভিক্ষু।
প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিহার, সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রার ক্ষতি না করে আত্মসমর্পণ করে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে মানববন্ধন করে রুমা উপজেলার স্থানীয়রা।