সশস্ত্র বাহিনীকে বাধা দিলে ২০ বছর পর্যন্ত কারদণ্ড হতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। সোমবার সামরিক বাহিনীর একটি ওয়েবসাইটে পোস্ট করা বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া লোকজনের ৭ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। এর পাশাপাশি যারা শঙ্কা বা অস্থিরতা উসকে দিয়েছেন বলে দেখা যাবে তাদের তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।জান্তা সরকার অভ্যুত্থানবিরোধী প্রতিবাদকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সশস্ত্র বাহিনীকে বাধা দিলে তাদের ২০ বছর পর্যন্ত কারদণ্ড হতে পারে।
সামরিক অভ্যুত্থানের নেতাদের প্রতি কেউ মৌখিক বা লিখিত বাক্যের মাধ্যমে বা কোনো সাইন বা দৃশ্যমান কিছু উপস্থাপনের মাধ্যমে ‘ঘৃণা বা অবজ্ঞা’ উসকে দিলে তাকেও দীর্ঘমেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা গুনতে হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনারা।
মিয়ানমারে বিক্ষোভ দমনে মারমুখী অবস্থানে সেনাবাহিনী। রোববার রাত থেকে বিভিন্ন শহরের রাস্তায় সশস্ত্র টহল দেয়া শুরু করেছে তারা। একটি স্থানে ‘গুলি’ চালানোর খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দশম দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। রাজধানী নেপিদো ও ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামেন।
কাচিন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে।
ফেসবুকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কাচিনের রাজধানী মিতকিনা নগরীতে একটি পাওয়ার প্ল্যান্টের বাইরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুড়ছে।
তবে তারা তাজা গুলি নাকি রাবার বুলেট ছুড়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেখান থেকে স্থানীয় পাঁচ সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে।
এদিকে রোববার সন্ধ্যা নামার পরপরই বাণিজিক্য নগরী ইয়াঙ্গুন, মিতকিনা ও রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতউইতে সড়কে সাঁজোয়া যান চলতে দেখা যায়। এরমধ্যেই ইয়াঙ্গুনে মিছিল বের করেন বৌদ্ধভিক্ষু ও প্রকৌশলীরা।