ঢাকায় প্রতিমাসে গড়ে ১৫ থেকে ২০টি খুনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, ‘ঢাকায় গড়ে প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০টি খুনের ঘটনা ঘটে। এরকমই ফেব্রুয়ারিতে দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। একটি ১০ ফেব্রুয়ারি আরেকটি ১২ ফেব্রুয়ারি।’
প্রসঙ্গত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি কদমতলী থানার পূর্ব জুরাইনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মো. জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। একই ঘটনায় মজিবর রহমান ওরফে মোহন গুরুতর আহতন হন। এই ঘটনায় কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আশেপাশের এলাকা থেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সাত জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আসামিরা হলো মো. শুক্কুর, মো. নুরুল ইসলাম স্বপন, মো. রতন ওরফে সোলাইমান ওরফে রোম্বে, মো. শফিকুর রহমান ওরফে দিপু, ফাহিম হাসান তানভীর ওরফে লাদেন, মো. তরিকুল ইসলাম ও মাসুদ পারভেজ।
আসামিদের বিরুদ্ধে এর আগেও হত্যা, মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। তারা চিহ্নিত অপরাধী।মাহবুব আলম বলেন, ‘মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।’অপরদিকে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদায় কিশোর হাসান মিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যান্ডেজ নামে একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি।
মাহবুব আলম বলেন, সালাম না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং গ্রুপটি হাসান মিয়াকে খুন করে। কিশোর গ্যাং গ্রুপের নেতৃত্ব দিতো তানভীর। তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যুগ্ম কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাং মাঝেমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠছে। আমরাও তৎপর রয়েছি। মূলত নিম্ম আয়ের পরিবারের সন্তানরা এই কিশোর গ্যাং কালচারের সঙ্গে জড়িত।
করোনার লকডাউনের সময় কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো নিষ্ক্রিয় ছিল। লকডাউনের পর তাদের আবার তৎপরতা দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি কলেন, ‘আমাদের বিট পুলিশিংয়ের সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এলাকার মাদক ও কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলোকে প্রতিরোধ করতে। তারা কাজ করছে।’
কিশোর অপরাধ নিয়ে একটি স্টাডি (গবেষণা) চলছে বলেও জানান তিনি। স্টাডিতে কিশোররা কেন অপরাধে জড়াচ্ছে এবং তারা কোন পরিবার থেকে আসছে এসবসহ পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয় উঠে আসবে বলে জানান তিনি।