ধর্ষিতা হতে চাননি ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের ২৩ বছরের তরুণী। তাই প্রাণপণ চেষ্টা করে আটকাচ্ছিলেন ধর্ষণের চেষ্টায় থাকা চার ব্যক্তিকে। কিন্তু ওই চার ব্যক্তি তরুণীর বাধা মেনে নেননি। ‘শাস্তি’ হিসাবে তরুণীকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দিলেন দুর্বৃত্তরা। গত ৭ জানুয়ারির ঘটনা। রবিবার রাঁচির হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর। এই ঘটনায় তরুণীর শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। তরুণীকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রায় দু’সপ্তাহের লড়াই শেষে রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে।হাজারিবাগের এসপি মনোজ রতন চোথে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘রবিবার সকালে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। মামলার বিস্তারিত তদন্তের জন্য হাজারিবাগ পুলিশ বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গঠন করেছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।’পুলিশ জানিয়েছে, চার অভিযুক্তের মধ্যে তিন জন নিহত ওই তরুণীর আত্মীয়। গোটা ঘটনায় পুলিশ ওই তরুণীর স্বামীর ভূমিকা খতিয়ে দেখছে বলেও জানিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু তাঁর স্বামীর দাবি, তিনি নিজে স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করান।
এসপি বলেন, ‘‘এফআইআর-এ নাম থাকা অভিযুক্ত ছাড়াও, আমরা এই ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামীর ভূমিকাও তদন্ত করে দেখছি। ওঁর বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে।’’পুলিশ এ-ও জানিয়েছে যে, তরুণীকে বিয়ে করার আগেও তাঁর স্বামীর তিনটি বিয়ে ছিল এবং মৃতা তাঁর চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন।নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।