আবাসন ও উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজে বহুল ব্যবহৃত পোড়ামাটির ইটের বদলে কনক্রিটের ব্লক ব্যবহার করার মাধ্যমে ৩০ শতাংশ খরচ কমানোর পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। ২০২৫ সালের মধ্যে পোড়ামাটির ইটের ব্যবহার শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে যে পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়ন করতে ইটের জায়গায় ব্লকের ব্যবহার বাড়ানো জরুরি। এই উদ্দেশ্যে, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান মীর গ্রুপ সদ্য চালু হওয়া মেট্রোরেলের নির্মাণকাজে পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক সরবরাহ করেছে।
পরিবেশের ওপর নির্মাণকাজের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মেগাপ্রকল্প সহ উন্নয়নমূলক কাজে ইটের ব্যবহার কমাতে উৎসাহিত করছে সরকার।
রাজধানী ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মেট্রোরেলের মেইন ডিপো ও ক্যাবল ড্রাম স্টোর এলাকায় ইউনি-পেইভার্স ও কার্ব-স্টোন ব্লক সরবরাহ করেছে মীর গ্রুপ। ডিপোতে ব্যবহৃত ব্লকের ৭৫ শতাংশেরও বেশি সরবরাহ করেছে এই প্রতিষ্ঠান।
এ প্রসঙ্গে মীর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবা ই জহির বলেন, “সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়তা করতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট বোধ করছি। মেট্রোরেলের মতো স্বপ্নের প্রকল্পে পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক সরবরাহ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা মেট্রোরেলে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত জ্ঞান অন্যান্য প্রকল্পে প্রয়োগ ও টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখার ব্যাপারে আশাবাদী।“
নির্মাণকাজের মূল কাঠামোতে ড্রিল করা ছাড়াই কনক্রিট ব্লকে বৈদ্যুতিক তার ও স্যানিটারি পাইপ প্রবেশ করানো সম্ভব। কনক্রিটের ব্লক অগ্নি প্রতিরোধক হয় এবং স্যাঁতস্যাঁতে ভাব, ফাঙ্গাস ও লবণাক্ততার মতো সমস্যা হয় না। পাশাপাশি শৈল্পিক ডিজাইনের এ ব্লকগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী ও টেকসই হয়।
এখন পর্যন্ত বেশকিছু ল্যান্ডমার্ক প্রকল্পে কনক্রিট ব্লক ব্যবহার করেছে মীর গ্রুপ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য - পদ্মা সেতুর অভ্যন্তরীণ সড়কের কাজ, চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (পূর্বাচল নিউ টাউন), ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ও রিসোর্ট (পূর্বের রূপসী বাংলা), বরিশাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, ঢাকা বিমানবন্দর, বিআরটি প্রকল্প ও আশ্রয়ণ প্রকল্প- ৩ (ভাসান চর, হাতিয়া)। এছাড়া, মীর গ্রুপ ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও সৌদি আরব দূতাবাসের নির্মাণকাজেও কনক্রিট ব্লক সরবরাহ করেছে।