বিধানসভা ভোটের বাকি আর মাস দু’য়েক। তার আগে ত্রিপুরায় দল ছাড়ছেন একের পর এক বিজেপি বিধায়ক ও নেতা। এই পরিস্থিতিতে সে রাজ্যে পদ্মের হাল ধরতে সক্রিয় হচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ত্রিপুরা গিয়ে ৮ দিনের রথযাত্রার সূচনা করবেন তিনি।২০১৮ সালের মার্চ মাসে জনজাতি সম্প্রদায়ের সংগঠন আইপিএফটি-র সঙ্গে জোট বেঁধে বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছিল। আড়াই দশকের বাম শাসনের অবসান হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিপ্লব দেব। কিন্তু গোড়া থেকেই সরকারের অন্দরে টানাপড়েন শুরু হয়। পাশাপাশি, বিপ্লবের বিরুদ্ধে একাধিক বার আলটপকা মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে।২০২১ থেকে বিজেপি পরিষদীয় দলে ভাঙনও দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামলাতে চলতি বছরের মে মাসে বিপ্লবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি বদলায়নি। এ পর্যন্ত ত্রিপুরায় বিজেপির ৬ জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে দল ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে সুদীপ রায় বর্মন, আশিস সাহা, দিবাচন্দ্র রাঙ্খল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বুর্বমোহন ত্রিপুরা যোগ দিয়েছেন বিরোধী জনজাতি দল তিপ্রা মথায়। আশিস দাস তৃণমূলে যোগ দিলেও পরবর্তী সময়ে জোড়াফুল শিবির ত্যাগের কথা ঘোষণা করেন।এ ছাড়া বিজেপির জোটসঙ্গী জনজাতি দল আইপিএফটির বৃষকেতু দেববর্মা, মেবার কুমার জামাতিয়াও বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে আর এক জনজাতি দল তিপ্রা মথায় যোগ দিয়েছেন। ভোটের আগে শাসক জোটের আরও আধ ডজন বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে বিরোধী শিবিরে শামিল হতে পারেন বলে জল্পনা।
অফাবৎঃরংবসবহঃ
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য আগামী ৫ জানুয়ারি দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম থেকে রথযাত্রা শুরু কথা ঘোষণা করেছেন। যার পোশাকি নাম ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’। শনিবার রাজীব বলেন, ‘‘ওই দিন জনসভা থেকে অমিত শাহ পতাকা নেড়ে যাত্রার সূচনা করবেন।’’ তিনি জানান, ১২ জানুয়ারি যাত্রার সমাপ্তি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। রাজ্যের ৬০টি বিধানসভার সবগুলি ছুঁয়ে যাবে এই ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’। কেন্দ্র এবং ত্রিপুরা সরকারের ‘সাফল্য’ তুলে ধরতে অন্তত যাত্রাপথে ২০০টি জনসভা করবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা এবং মন্ত্রীরা।