ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

টেনে-হিঁচড়ে তুনিশার প্রেমিককে আদালতে

ডেস্ক নিউজ।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2022-12-29, 12.00 AM
টেনে-হিঁচড়ে তুনিশার প্রেমিককে আদালতে

পায়ে জুতো নেই, মুখ ঢাকা, অভিযুক্তের ঘাড় ধরে টানতে টানতে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়েছে নেটদুনিয়ায়। প্রয়াত অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার প্রাক্তন প্রেমিক শীজ়ান খানের প্রতি প্রশাসনের এই আচরণ দেখে শিউরে উঠলেন অনেকেই। প্রশ্ন উঠছে, এখনও দোষী সাব্যস্ত হননি, তার আগে এক জন অভিনেতার সঙ্গে এই ব্যবহার? পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন অভিযুক্তের প্রতি এ হেন আচরণ ‘অমানবিক’ এবং আইনবিরুদ্ধ বলেই মনে করছেন একাংশ।প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার ১৫ দিন পর, গত ২৪ ডিসেম্বর সিরিয়ালের সেটে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ২০ বছরের তুনিশার। শুটিংয়ের বিরতির সময় বাথরুমে ঢুকে নিজেকে শেষ করে দেন অভিনেত্রী, এমনই জানান সহকর্মীরা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। এ দিকে কন্যার মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলতে রাজি নন মা। তুনিশার সহ-অভিনেতা শীজ়ানের বিরুদ্ধে মৃত্যুর প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছিল শীজ়ানকে। তাঁকে জেরা করা হচ্ছে দিনরাত। শুরুতে নীরব থাকলেও বুধবার রাতে অল্প অল্প জবাব দিয়েছেন অভিনেতা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বোঝা গিয়েছে, সমস্যা একটি নয়, একাধিক এবং জটিল।কেন বিচ্ছেদ করেছিলেন তুনিশার সঙ্গে? জিজ্ঞাসা করতেই প্রতি বার বয়ান বদলে ফেলছেন শীজ়ান। বুধবার শেষ রাতে পুলিশ অফিসারের প্রশ্নের মুখে হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। শীজ়ানের দাবি, দু’জনের বয়সের ফারাক অনেকটাই ছিল। যা পরিবার মেনে নেবে না। তাই বিচ্ছেদের রাস্তা নিয়েছিলেন।

 

মঙ্গলবার তুনিশার শেষকৃত্য হয়। বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে শীজ়ান। মৃত্যুরহস্যের কিনারা না হওয়ায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতের কাছে আরও সময় চাইছেন পুলিশকর্তারা। বৃহস্পতিবার শীজ়ানকে নিয়ে মুম্বইয়ের বাসাই আদালতের দিকে যাওয়া হচ্ছিল। সেখানেই তাঁর প্রতি অধিক ‘কড়া’ হওয়ার সেই দৃশ্য প্রকাশ্যে আসে। যা দেখে নানা রকম প্রতিক্রিয়া জানান নেটগরিকরা। কেউ বলেন, “পুলিশের হেফাজতে অভিযুক্তের প্রতি এতটা অমানবিক হওয়া কি আমাদের রীতি?” আবার কেউ প্রশ্ন তুললেন, “ওঁর জুতো কোথায়? আদালতে যাওয়ার আগে পায়ে জুতো গলানোরও অধিকার নেই?” আর এক জন মন্তব্য করেছেন, “এখনও দোষী প্রমাণিত হননি, তার আগেই এই!”