ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সবচেয়ে বড় পরশু হাট নেকমরদে গরু ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের
অভিযোগ উঠেছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ব্যাবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্যচিত্র পাওয়া গেছে।
হাটে গরু প্রতি ২৪০ টাকা ও ছাগল প্রতি ১২০ টাকা টোল আদায়ের সরকারি নিয়ম থাকলেও
হাট ইজারাদার তা উপেক্ষা করে নিজ ক্ষমতার দাপটে, হাটে জড়িত সংশ্লিষ্ঠ লোকদের দিয়ে গরু প্রতি ৫০০ টাকা ও ছাগল প্রতি ২০০ টাকা টোল আদায় করাচ্ছে।
হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী পীরগঞ্জ জসাইপাড়া গ্রামের আনিসুর, প্রায়াগপুর গ্রামের চক্রমোহন, করিয়া কলমদ্বা গ্রামের রশিদুল ও হরিপুর উপজেলার ভেটনা গ্রামের মোবারকসহ দুই ব্যাবসায়ী ও দুই সাধারণ ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি নিয়ম ভঙ্গকরে হাট কমিটির লোকজন এভাবে আমাদের কাছে বেশি টাকা আদায় করায় আমরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আজকে আমারা দুই জন ব্যাবসাী ১০ টি গরু ক্রয় করেছি, এতে ২৭০ টাকা করে বেশি হলে ২৭০০ টাকা আমাদের কাছে বেশি আদায় করা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, এভাবে প্রতিহাটে ৫ থেকে ৬ শত গরু এবং ৩ থেকে ৪ শত ছাগলে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা বেশি টোল আদায় করচ্ছে।
এতে প্রচন্ড ক্ষতির শিকার হচ্ছে এসব ব্যাবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে গরুর রশিদ লেখক মো. সইদুল বলেন, হাট ইজারাদার আমাদের যত টাকা নিতে বলেছে, আমরা তাই নিচ্ছি । তাছাড়া আমরা কমিশনে কাজ করি আমাদের দোষ কি?
এ ব্যাপারে হাট ইজারাদার আব্দুল কাদেরের সাথে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিত সাহার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে রংপুরে এসেছি, তবে হাট কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত টোল আদায় করে থাকলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমানের সঙ্গে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখতেছি ।
প্রসঙ্গতঃ গত ১৮ ডিসেম্বর রবিবারে একই হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য হাটে গেলে, হাট ইজারাদার সাংবাদিকদের সাথে চরম খারাপ ব্যাবহার আচরণ করেন।