পার্বত্য অঞ্চলের কৃষকরা ড্রাগন চাষ করে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পদক অর্জন করছে। পার্বত্য জেলার চাষীরা দেশে প্রচুর আনারস, কলা, কাঠাল উৎপাদন করছে। এখানকার কৃষকরা এখন স্বর্ণপদক পাচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের কৃষকরা দেশে সবুজ বিপ্লব গড়ে তুলছে।মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর ২০২২ইং) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম-এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ-এর চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ-এর চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য প্রশাসন ও প্রকল্প পরিচালক ইফতেখার আহমেদ, অর্থবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য-বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিয়ষক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলী।
সভায় তিন পার্বত্য জেলায় মাঝারি মানের ৩টি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় মিশ্র ফল চাষ এবং মসলা চাষ প্রকল্পের আওতায় যেসকল গাছ রোপণ করা হয়েছে তার বর্তমান অবস্থা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে ৪৮০০ পাড়াকেন্দ্রের মধ্যে কতগুলো পাড়াকেন্দ্র রাখা প্রয়োজন রয়েছে তার একটি কমিটি গঠন করা, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের কার্যক্রম সংক্রান্ত, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাগুলোর নিকটবর্তী এলাকায় পানি সরবরাহ ও সেনিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, কৃষকদের দারিদ্র্যবিমোচনে তুলা চাষ বৃদ্ধি, কফি ও কাজু বাদাম চাষ, সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ, প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপসমূহের বাস্তবায়নে বিশেষ করে গৃহহীনদের মাঝে গৃহ প্রদান ইত্যাদি বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা হয়।