ঢাকা, বুধবার ২৪ই এপ্রিল ২০২৪ , বাংলা - 

আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

জেলা প্রতিনিধি।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2022-11-04, 12.00 AM
আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সোনালী ধানের শীষে  দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।  খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে আবহাওয়া ভালো  থাকায় রোপা আমনের এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। সোনালী  ধানের শীষের ভারে দাঁড়িয়ে থাকা ধান হেলে পড়েছে জমিতে ।  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়,  জেলায় চলতি ২০২১-২২  মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ৬৯ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমির বিপরীতে চাষ হয়েছে  ৬৯ হাজার ৫শ ৩৫ হেক্টর জমি । এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ৬৩ হাজার  ৬০০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ৫ হাজার ২৩৫ হেক্টর ও স্থানীয়  জাতের রয়েছে এক হাজার ৭০০ হেক্টর। এতে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে  প্রায় ৩ লাখ  মেট্রিক টন চাল। জেলার পাঁচ উপজেলায় রোপা আমন চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি বিএডিসি (বীজ) থেকে উন্নত মানের ধানবীজ সরবরাহ করে কৃষকদের মাঝে। কৃষকরা যথা সময়ে জমি চাষ-খোড় দিয়ে প্রস্তুত করে।  আষাঢ় মাসে  বৃষ্টিপাত কিছুটা  কম হলেও শ্রাবণ মাসের ভারি বৃষ্টিপাতে পানির অভাব দূর হয়ে যায়।  অনেক এলাকায় কৃষকরা সেচযন্ত্র (গভীর ও অগভীর নলকূপ) ব্যবহার করে জমিতে পানি সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণের কার্যক্রম শুরু করলেও  শ্রাবণ মাসে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে পানির আর কোন সমস্যা হয়নি।

কৃষি বিভাগ জানায়, জয়পুরহাটে চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে রোপা আমন চাষ সফল করতে ৪ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা তৈরি করা হয়। যেখানে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭৩৯ হেক্টর । আবহাওয়া ভালো থাকায় আমন ধানের এবারও  বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে  বলে আশা প্রকাশ করছে স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ধানের শীষের ভারে দাঁড়িয়ে থাকা ধান হেলে পড়েছে জমিতে।  ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় আগাম জাতের রোপা আমন ধান কাটামাড়াই শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে এবং এ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে বলে জানান ,  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম ।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ রোপা আমন চাষ মৌসুমে জেলায় ৭০ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছিল। এতে চাল উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ১৫ হাজার ৫ শ ৮২ মেট্রিক টন। যা জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছিল বলে জানায় কৃষি বিভাগ।