ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ই মার্চ ২০২৪ , বাংলা - 

মেলার খরচে রাশ টানতে হবে!

ডেস্ক নিউজ।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2022-11-02, 12.00 AM
মেলার খরচে রাশ টানতে হবে!

মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে নতুন কোনও প্রকল্প গ্রহণ করা যে যাবে না, দফতরগুলিকে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরাসরি মেলার খরচে রাশ টানার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনায় শ্রম দফতরের একটি বিষয় উঠে আসে। সূত্রের খবর, তখনই মমতা সরাসরি শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছ থেকে শ্রম দফতরের বিভিন্ন মেলার সংখ্যা, তার পিছনে খরচের কথা জানতে চান। মলয় তথ্য দেন এবং জানান, প্রধানত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই বড় করে ওই সব মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা নির্দেশ, এখন কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। তাই, মেলা বন্ধ করে একশো দিনের কাজের সুযোগ দিতে হবে।

 

প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, গত প্রায় এক বছর ধরে একশো দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কবে সেই বরাদ্দ পুনরায় চালু হবে, তা নির্দিষ্ট করে এখনই কেউ বলতে পারছেন না। রাজ্যের দাবি, এই অবস্থায় বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের জবকার্ডধারীদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে রাজ্যকে। এখনও পর্যন্ত এই ব্যবস্থায় ৬০০ কোটির বেশি অর্থ খরচ করে ফেলেছে রাজ্য।

 

সূত্রের খবর, এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, একশো দিনের শ্রমিকদের কাজে লাগানো যাবে, এমন কাজকর্মে বাড়তি জোর দিতে হবে। দফতরগুলি যেন এই কাজে অগ্রাধিকার দেয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন মমতা। এই প্রশ্নেই মেলার খরচে রাশ টানার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

 

প্রসঙ্গত, এমনিতে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি বেশ খারাপ। তার উপর কেন্দ্রীয় অর্থ বন্ধ থাকায় সমস্যা আরও বেড়েছে। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে জানাচ্ছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই পরিস্থিতিতে মোটেই স্বস্তিতে নেই রাজ্য। তাই জবকার্ডধারীদের কাজের অভাব মেটানোর চেষ্টা চলছে। তবে সিপিএমে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খেলা-মেলা কম করে একশো দিনের কাজে জোর দিতে হবে, এটা ভাল। কিন্তু অনেক টাকা লুঠ হয়ে গিয়েছে। তা ফেরানোর দাবিতে মানুষ ঝান্ডা নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। তার বিচার তো দরকার।’’