আপনার পছন্দের নায়ক বা নায়িকারা যখন পর্দায় আসেন, তাঁদের দেখলে মনে হয়, তাঁরা সাধারণ মানুষের থেকে কয়েক যোজন দূরে। সর্বদা মুখে হাসি ধরে রাখা ওই দূর নক্ষত্রদের হয়তো চাইলেই ছোঁয়া যায় না, কিন্তু ওই হাসির আড়ালে কত ব্যথা, যন্ত্রণা লুকিয়ে থাকে, তা সাধারণ মানুষের চোখে ধরা পড়া না। ৮০ পেরিয়েও কেউ লিভারের মাত্র ২৫ শতাংশ নিয়েই প্রতিদিনের কাজ করে যাচ্ছেন। আবার কেউ আধ ঘণ্টার বেশি দাঁড়াতেই পারেন না। এমন অনেক কঠিন রোগ নিয়েও দর্শকদের চাহিদা মেটাতে তৎপর তাঁরা।
১) হৃত্বিক রোশন
ছোটবেলা থেকেই কথা জড়িয়ে যেত বলিউডের ‘গ্রিক গড’ হৃত্বিক রোশনের। লম্বা মেরুদণ্ডের দু’টি হাড়ের মধ্যে ফাঁক কম থাকলে, পিঠের হাড় বেঁকে যায়। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে ‘স্পাইনাল স্টেনোসিস’ বলা হয়। এই রোগ নিজের শরীরে নিয়েই তাঁর নাচের ছন্দে বিশ্ব মাতাচ্ছেন তিনি।
২) দীপিকা পাড়ুকোন
মানসিক অবসাদ নিয়ে বরাবরই অকপট ‘পাঠান’-এর নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন। অন্যান্য রোগ যতটা গুরুত্ব পায়, ততটা সামনে আসে না মনের রোগ। তাই এই রোগ নিয়ে মন খুলে কথা বলার পথ দেখাচ্ছেন তারকারাই।
৩) সলমন খান
মাঝেমধ্যেই মুখের বিভিন্ন অংশে অসহ্য যন্ত্রণা, কারেন্ট লাগার মতো অনুভূতি নিয়েই দীর্ঘ দিন কাজ করছেন সলমন খান। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে ট্রিগমিনাল নিউরালজিয়াও বলা হয়। এই রোগ পুরোপুরি সারে না, অ্যান্টি-কনভালস্যান্ট জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র।
৪) অমিতাভ বচ্চন
যকৃতের মাত্র ২৫ শতাংশ নিয়ে বেঁচে আছেন বলিউডের শহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। এ ছাড়াও দীর্ঘ দিন তিনি ‘টিউবারকুলোসিস’ এবং ‘হেপাটাইটিস বি’-র মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
৫) স্নেহা উল্লাল
অনেকেই ঐশ্বর্যা রাইয়ের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন স্নেহা উল্লালকে। স্নেহা এক টানা ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। কারণ দীর্ঘ কাল ধরেই তাঁর শরীরে বিশেষ এই অটো ইমিউন রোগটি রয়েছে।