বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল টাকার বস্তার ওপর শুয়ে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ফখরুল এখন চাঙা হয়ে গেছেন। টাকা পাচ্ছেন তো। টাকারে টাকা! আরব আমিরাতের টাকা, দুবাইয়ের টাকা। এই তো এলো টাকা। ফখরুল মহাখুশি।তিনি বলেন, টাকা পাইলেই তার দল খুশি। টাকা ওড়ে আকাশে, বাতাসে; টাকা ওড়ে পাড়ায়-মহল্লায়। আমরা খবর নিচ্ছি। কারা টাকা পাঠায়। খোঁজ পেয়েছি, ব্যবস্থা হবে। ‘টাকার খেলা হবে না, খেলা হবে জনগণের’ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে, আন্দোলনে খেলা হবে, নির্বাচনে খেলা হবে। ভোট চুরির বিরুদ্ধে, ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। যারা ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে, প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে (পুরোনো বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি স্বাধীনতার আদর্শ গিলে ফেলেছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা ক্ষমতায় যেতে পারলে দেশসহ গিলে ফেলবে। সাবধান, বিএনপি থেকে সাবধান। বড় লোকদের বাড়ির সামনে লেখা থাকে ‘কুকুর থেকে সাবধান’। আমরা বলি, বিএনপি থেকে সাবধান।
‘
রংপুরে বিএনপির সমাবেশের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রংপুরে একটি সমাবেশ হচ্ছে। আপনারা কেউ জানেন? কত রঙ্গ দেখাইলারে জাদু, কত রঙ্গ দেখাইলা! রংপুরে রঙ্গ নাটক। তিনদিন আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে রংপুরে এনে সব শোয়াইয়া রাখছে। মঞ্চের সামনে শুয়ে আছে। মঞ্চের ওপর শুয়ে আছে। বাড়ির ছাদের ওপর, গুদামঘরে শুয়ে আছে।
ফখরুলের উদ্দেশে তিনি বলেন, রংপুরের ছবিও দেখুন। আপনারটাও দেখুন। আমাদেরটাও দেখুন। এখানে তো শেখ হাসিনা নেই। দেখাবো, পলোগ্রাউন্ডে দেখাবো। সেখানে ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে। শেখ হাসিনা যাবে। আপনারা ১০ লাখ মুখে বলবেন, আমরা বাস্তবে দেখাবো। আপনাদেরটা বাস্তবে সত্য নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে, কেউ হারাতে পারবে না। বিএনপি এত তাফালিং করছে কেন জানেন? ভোট হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হেরে যাবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রেগে গেলে আরও হেরে যাবেন, আর রাগ কইরেন না।
জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে না দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যত নাচানাচি লাফালাফি করুক, তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তারা কর্মীদের বোঝাচ্ছেন- ক্ষমতায় আসি আসি। এত আহ্লাদ! এত সুখ!
বিএনপি মারমুখী আচরণ করছে দাবি করে নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, সাবধান থাকতে হবে না? দেখেন না কী রকম মারমুখো? মরণকামড় আর জীবনকামড়। যে কামড়ই দেন।
বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়কের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে ফেলুন। সেটা আর হবে না। আদালত মিউজিয়ামে পাঠিয়েছে। আমাদের দোষ নেই। আমরা তো নিষিদ্ধ করিনি। বিএনপি নির্বাচনে যাবে। গাধা পানি ঘোলা করে খায়। সময় আসলে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নাকি মন্ত্রিপরিষদও গঠন করে ফেলেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, সদস্য জিয়াউল কবির কাউসার, সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রমুখ।