শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গণই মমিনাকান্দা গ্রামে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে অভিযান চালিয়ে কথিত মক্ষীরাণী জরিনা বেগমের স্বামী আবুল কালাম আজাদের বসতবাড়ি থেকে জরিনা বেগম (৫০) দুই পতিতা নাসরিন আক্তার (৩২), মোছা. দুলালী বেগম (৩৬) এবং অপরাপর সহযোগি জিয়ার আলী (২৩), মো. রাজা মিয়া (৩৫) সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শেরপুর জেলার সদর উপজেলার গণই মমিনাকান্দা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী ও মৃত মাহমুদের মেয়ে জরিনা বেগম, পটুয়াখালি জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ভিকাখালি গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে নাসরিন আক্তার, গাইবান্ধা জেলার ভবানীগঞ্জ কিশমত ফাসিয়া গ্রামের দুদু মিয়ার মেয়ে মোছা. দুলালী বেগম, জরিনার ছেলে জিয়ার আলী, চাঁন মিয়ার ছেলে মো. রাজা মিয়া।
এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম এর নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গণই মমিনাকান্দা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের বসত বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় দেহ ব্যবসা কাজে জড়িত মক্ষীরাণী জরিনা বেগম, পতিতা নাসরিন বেগম, মোছা. দুলালী বেগম এবং অপরাপর সহযোগি জিয়ার আলী ও মো. রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আবুল কালাম আজাদ পালিয়ে যায়।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মক্ষীরাণী জরিনা বেগম দেশের বিভিন্নস্থান থেকে মেয়ে মানুষ এনে তার বসতবাড়িতে পতিতা বৃত্তিসহ অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল।
এব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় ধৃতদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মক্ষীরাণী ও পতিতাসহ অপরাপর সহযোগিদের আদালতে সোপর্দ করেছে ডিবি পুলিশ।