ঢাকা, মঙ্গলবার ৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

শেরপুরে মা-ছেলেসহ ৩ জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

হামিদুর রহমান, শেরপুর সদর উপজেলা প্রতিনিধি ॥ ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2022-10-05, 12.00 AM
শেরপুরে মা-ছেলেসহ ৩ জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

শেরপুরে একই পরিবারের মা ও ২ ছেলেসহ ৩ জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তারা সনাতন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন। ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে প্রথমে একজন মাওলানার কাছে কালেমা পড়ে এবং পরে আদালতে হাজির হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের সনাতন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনতারা হলেন- শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলা পৌর শহরের গড়কান্দা মহল্লার শ্রী খগেন এর স্ত্রী সবিতা রানী, তার দুই ছেলে জয় ও বিজয়। বর্তমানে তারা তাদের নাম রাখা হয়েছে আছিয়া বেগম এবং মোহাম্মদ হাসান ও মোহাম্মদ হোসাইন।

 

 

 

জানা গেছে, জয় শেরপুর জেলা শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. ফরিদুল ইসলামে সিয়ান চেইন সেন্টারে ছোট ছেলে বিজয় বালা তৈরির কাজ করছেন। এক পর্যায়ে তারা মুসলমানদের আঁচার অনুষ্ঠান ভালো লাগায় তার মালিক ফরিদকে প্রস্তাব দেন সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে। তখন ফরিদ জানায়, তার অভিভাবকের সাথে কথা বলে অনুমতি নিয়ে আইনগত ভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। পরে বিজয় তার ভাই জয় এবং মা সবিতা রানীর সাথে কথা বললে তারাও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি হয়ে যান। এরপর তারা ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী, ইউপি সদস্য সুলতান সরকার ও এডভোকেট মেরাজ উদ্দিন চৌধুরীর সহযোগিতায় আদালতে হাজির হয়ে এফিডেভিট করেন। তার আগে তারা স্থানীয় মুফতি নুরুল আলমের কাছে কলেমা ‘ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ পাঠ করেন।

 

 

 

নওমুসলিম আছিয়া বেগম জানায়, ইসলাম ধর্ম আমার অনেক আগে থেকেই ভালো লাগতো। প্রতিবেশিদের ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখে আমারও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে মন চাইতো। ছেলে বিজয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে শুনে আমি এবং আমার অন্য ছেলে জয়কে নিয়ে রাজি হই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে।

 

 

 

বিজয় জানায়, কারো প্ররোচনায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিনি। আমি অনেক দিন থেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহনের জন্য নিজে নিজেই খতনা করেছি। আজ আমার মা ও ভাইকে নিয়ে আদালতের মাধ্যমে এবং কলেমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলাম।

 

 এব্যাপারে এডভোকেট মেরাজ উদ্দিন চৌধুরী জানায়, অদ্য ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার স্বর্গীয় খগেন বিশ্বাসের স্ত্রী সবিতা রানী ও তার দুই ছেলে স্বেচ্ছায় আমার কাছে এসে তাদের সনাতন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আমি তাদের মাননীয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মেহেদী হাসান চৌধুরীর মাধ্যমে এফিডেভিট সম্পন্ন করেছি।