নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯ নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সল বারীর বিরুদ্ধে জমি , প্রজেষ্ট দখল ও নিরীহ মানুষ থেকে টাকা নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন , বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী ।রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের নুরুল আমিন সওদাগরের দোকানের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা শিহাব উদ্দিন, আকবর মেম্ব্ার , বাহার কর্ন্টাকটর , নুর মোহাম্মদ, দেলোয়ার হোসেন এর প্রজেক্ট দখল করে নেয় পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সল বারী চৌধুরী ।
মাবনবন্ধনে বক্তরা বলেন , ফয়সল বারী চৌধূরী চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আমাদের উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে। হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের দেওয়া ১০ টাকা দামের চালের কার্ড নিয়ে যায় , কিন্ত তাদেরকে চাল নেওয়া হয়না । মমিন দফাদার বলেন , ফয়সল বারী চৌধূরী চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আমার একটি প্রজেক্ট থেকে তার লোকজন দিয়ে জোর পূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যায় এবং আমার প্রজেক্ট এর ঘর ভেঙ্গে ফেলে প্রজেক্ট দখল করে নিয়ে যায় । আমাকে চাকুরী করতে দেওয়া হয়না , এমনকি বেতন বন্ধ করে দেয় । আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমুকি দেয় , তার ভয়ে বর্তমানে আমি বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি এবং মানবতের জীবনযাপন করছি। এ ব্যাপারে আমি জেলা প্রশাসকসহ উদ্ধর্তন কৃর্তপর্ক্ষকে জানিয়ে ও কোন প্রতিকার পায়নি।
ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন বলেন , আমি ২০১০ সাল থেকে এ ইউনিয়নে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে আসছি। বর্তমান চেয়ারম্যান ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে বিভিন্নভাবে আমি টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে । গত চার মাসে আমার থেকে চেয়ারম্যান ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নেয়। অনলাইনে ভাতা কার্ড সহ বিভিন্ন কার্ড করতে মানুষ থেকে ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নিতে বলে । আমি টাকা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সে আমাকে কাজ করা বন্ধ করে দেয় । আমি এ ব্যাপারে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি কিন্ত কোন প্রতিকার পায়নি।
মাছ ব্যাবসায়ী মমিন বলেন ,আমাকে চেয়ারম্যান ফয়সল বারী তার কাচারিতে ঢেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে, আমার অপরাধ আমি আওয়ামীলীগ করি । এ ছাড়া ও মানববন্ধনে উপস্থিত কয়েক জন নারী ও পুরুষ অভিযোগ করে বলেন , সাবেক চেয়ারম্যানের সময় আমাদের নামে চালের কার্ড হয়েছে , তখন চাল পেয়েছি , বর্তমান চেয়ারম্যান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমাদের নিকট থেকে কার্ড গুলো নিয়ে যায়। কিন্ত কোন চাল দেয় নাই। কার্ড এবং চাল চাইতে গেলে তিনি বলেন টাকা দিতে হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ১৯ নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সল বারী চৌধূরী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল বিধায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দফাদার মমিনের কোন প্রজেক্ট দখলের প্রশ্নই আসে না , তার প্রজেক্টের কাগজ পত্র নিয়ে আসতে বলেন । অফিসে এসে তার ডিউটি করতে কেউ বাধাতো দেয়নি , সে না আসলে আমার কি করার আছে। ১০ টাকা দামের চালের বিষয়ে বলেন , ফুড অফিসের সাথে কথা বলে আমি কাজ করেছি।