ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

নকলা পাঠাগারের উদ্বোধন করলেন উপাচার্য

হামিদুর রহমান, শেরপুর সদর উপজেলা প্রতিনিধি ॥ ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2022-09-12, 12.00 AM
নকলা পাঠাগারের উদ্বোধন করলেন উপাচার্য

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় স্থাপিত নকলা পাঠাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে। বই পাঠের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের দেশাত্ববোধ তৈরি ও সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্য নিয়ে নকলায় যাত্রা শুরু করেছে নকলা পাঠাগার। ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে পাঠাগারের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর। এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নকলা পাঠাগার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এফ.এম কামরুল আলম রঞ্জু এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নকলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ্ মো. বোরহান উদ্দিন, নকলা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম হিরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আম্বিয়া খাতুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইস্কান্দার হাবীব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নকলা পাঠাগারের সভাপতি ও উপজেলার একমাত্র ইংরেজী মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “পাঠশালা” এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তৌহিদুল আলম রাসেল। নকলা পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক রুমি খানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নকলা উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান একেএম মাহবুবুল আলম সোহাগ, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালুকদার, নকলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, ছাত্র-শিক্ষক, স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্র লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা তাদের বক্তব্যে জানান, নকলা পাঠাগারটি শিশু-কিশোরদের সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা ও সমাজ সচেতন করতে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে কুসংস্কার থেকে দূরে রাখবে বলে তারা আশাব্যক্ত করেন। প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীদের বেশি করে বই পড়ার পরার্মশ দেন বক্তারা। নকলা উপজেলার সচেতন নাগরিকসহ শিক্ষানুরাগীদের অর্থায়নে ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি বাস ভবনে ওই পাঠাগারটি স্থাপন করা হয়। এতে ৫ হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরণের বই, ৩টি কম্পিটারসহ প্রায় ৪০ জন পাঠকের বই পড়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।