আগামী নভেম্বরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। এই আয়োজনকে ঘিরে গড়ে তুলতে হয়েছে স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন অবকাঠামো।আর সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে এত বড় কর্মযজ্ঞ করতে গিয়ে অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর পড়েছে বাড়তি চাপ। তবে তাদের ভাগ্যে জোটেনি ন্যায্য পাওনা। ফলে কিছু শ্রমিক তাদের পাওনার দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ দেখান। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকেরাও আছেন। আর এতেই বেজায় চটেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৪ আগস্ট দেশটির আল বান্দারি ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের দোহা অফিসের সামনে কমপক্ষে ৬০ জন অভিবাসী শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে আবার কিছু শ্রমিক আছে-যাদের সাত মাস ধরে কোনো ধরনের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবাদ করা কিছু অভিবাসী শ্রমিককে আটক ও কয়েকজনকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে ঠিক কতজনকে দেশটি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে দেশটির সরকার জানিয়েছে, নিরাপত্তা আইন ভঙ্গ করায় এসব অভিবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় কাতার ২০১০ সালে। এরপর থেকে দেশটিতে বিভিন্ন স্টেডিয়াম ও অবকাঠামো নির্মাণ বেড়ে যায়। আর এসব করতে যেয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী এই দেশটি অভিবাসী শ্রমিকদের সাথে করা আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
কাতার সরকার সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির জননিরাপত্তা আইন ভঙ্গ করার দায়ে এসব অভিবাসী শ্রমিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কারণ বিক্ষোভ দেখানোর সময় তারা শান্তিপূর্ণ আচারণ করেনি। ফলে তাদের নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন একটি গ্রুপ জানিয়েছে, এর মধ্যে কিছু অভিবাসী শ্রমিক কাতার ছেড়ে চলে গেছেন।
দেশটির সরকার জানিয়েছে, যেসব অভিবাসী শ্রমিক তাদের মজুরি পাননি, তাদের পাওনা মজুরি ও সুবিধা দেওয়া হবে। আর অভিযুক্ত গ্রুপ আল বান্দারি ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে আগে থেকেই তদন্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, দোহায় বিরল এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অভিবাসী শ্রমিকরা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মিশর ও ফিলিপাইনের নাগরিক।