তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিবহনের ক্ষেত্রে অহেতুক দাম বাড়ালে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করতে হয়েছে, মূল্য সমন্বয় করে পশ্চিমবঙ্গের সমপরিমাণ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে এবং পরিবহনের খরচও তারা বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি কোনভাবেই কাম্য নয়, কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার এসব মনিটরিং করছে এবং আমি আশা করবো ব্যবসায়ী সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ এ নিয়ে ভূমিকা রাখবেন। সরকার প্রয়োজনে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বামজোটের ডাকা হরতাল সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৬%, আমেরিকায় ৮.৫%, যুক্তরাজ্যে ৯.৪%, পাকিস্তানে ২৫%, অস্ট্রেলিয়ায় ৯% এর ওপরে। কিন্তু আমাদের দেশে ৭.৫% এর ওপরে যা মে মাসের আগ পর্যন্ত ৭% এর নিচে ছিল এবং তা এখনও অনেক দেশের চেয়ে কম। আর বামজোটের ভাইয়েরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি, তাই আমি তাদের সম্মান করি। কিন্তু আমি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাবো, তাদের কর্মকান্ডে যেন বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গিগোষ্ঠী লাভবান না হয়। যারা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি, জঙ্গিদের লালন-পালন-তোষণ করে, তারা যেন বাম ভাইদের কর্মকান্ডে লাভবান না হয়, দেশটাও যেন তাদের হাতে চলে না যায়। সেটিই তাদের প্রতি অনুরোধ।’
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের তদন্তের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের দাবি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মাঝে মধ্যে যারা গুম হয়েছে বলে, কিছুদিন পরে তাদের আবার দেখা যায়, খুঁজে পাওয়া যায়। এতে প্রমাণিত হয় বিএনপি প্রকাশিত গুমের তথ্য ঠিক নয়। আমি মনে করি, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যারা দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, ঘুমন্ত ট্রাক চালককে পুড়িয়ে, মুসল্লিকে বোমা মেরে হত্যা করেছে, তাদের এবং যারা মদদ দিয়েছে, অর্থায়ন করেছে, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সেই বিএনপি নেতাদের দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন, এটিই আজকের দিনের দাবি।’