নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বড় বোনকে স্কুলে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত তামজিদ ইমতিয়াজ (১৬) বসুরহাট এ.এইচ.সি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং একই এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে। রোববার (১৪ আগস্ট) বেলা ১০টার দিকে উপজেলার বসুরহাট এ.এইচ.সি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বসুরহাট এ.এইচ.সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ে পাঠদান চলাকালীন হঠাৎ দশম শ্রেণির এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই সময় অভিযুক্ত তামজিদ অসুস্থ ওই ছাত্রীকে কটূক্তি করে কথা বললে উপস্থিত একই শ্রেণির আরেকজন ছাত্র বাধা দেয়। তখন দুই জনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘটনার সূত্র ধরে তামজিদ স্কুলের ব্যাগে করে দা নিয়ে আসে। রোববার সকাল ১০টার দিকে তামজিদ বিদ্যালয়রে চতুর্থ তলায় যায়। সেখানে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাজ্জাদুল ইসলাম সায়েমের (১৪) সঙ্গে তার দেখা হয়। তখন সায়েম তার বড় বোন দশম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা ইসলাম সামিয়াকে (১৬) উত্ত্যক্ত করতে বারণ করে তামজিদকে। উত্ত্যক্ত করলে প্রধান শিক্ষিকাকে এ বিষয়ে নালিশ দেওয়ার হুমকি দেয়।
প্রধান শিক্ষিকা আরও বলেন, এতে দশম শ্রেণির ছাত্র তামজিদ ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলের মুল ভবনের চতুর্থ তলার বারান্দায় দা দিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সায়েমকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এতে তার হাতের বুড়ো আঙ্গুল কেটে যায়। তবে আঘাত পতিহত না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। একই দিন দুপুরের দিকে অভিযুক্ত ছাত্রকে বিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্রের পরিবার দাবি করে, সে অনলাইলে ফ্রী ফায়ার গেইম খেলায় আসক্ত। তাকে ডাক্তার দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। এ ঘটনায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি।