নোয়াখালীর একটি বিনোদনকেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উল্লেখ করে একটি প্রতিকৃতি স্থাপন করার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জাতীর জনকের প্রতিকৃতি দিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন নাসির রায়হান নামে এক ব্যক্তি। তার ওই পোস্টটি ইতোমধ্যে (মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত) ৭৪টি শেয়ার ও ৬২ টি মন্তব্য হয়েছে। মন্তব্যকারীরা এ বিষয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (২ আগস্ট) বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে ফেসবুকে দেয়া ওই স্ট্যাটাসে সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা নাসির রায়হান বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সাথে দাড়িয়ে ছবি তুলেছেন। তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেন ‘নোয়াখালী ড্রিম ওয়ার্ল্ড এ মেয়েকে নিয়ে সর্বপ্রথম ঘুরতে যাই (নোয়াখালীতে এ জাতীয় পার্ক আর না থাকায় মেয়ের আবদারে সেখানে যাওয়া)। এই ড্রিম পার্কটি মূলত বাংলাদেশের চেতনা বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠন জামাতের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান, এটা এ জেলার আমজনতা সকলেই জানে। সেটা মূল বিষয় নয়, বিষয়টা হলো এই ড্রিম পার্কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি প্রতিকৃতি রয়েছে এবং সেই প্রতিকৃতির নীচে লেখা থাকার কথা Father of the Nation' কিন্তু জামাতি আইডিয়া কত ব্যাপক তারা ইতিহাসের বিকৃতি ঘটাতে সেখানে লিখে রেখেছে Architect of Digital Bangladesh'|
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে উল্লেখ না করে/অস্বীকার করে সুকৌশলে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি লিখাটা কি ইতিহাসকে বিকৃত করে জাতির জনককে অসন্মান করার অপপ্রয়াস নয়? তাই বিষয়টি আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণে মাননীয় জেলা প্রশাসক নোয়াখালী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে পোস্টদাতা নাছির রায়হান ‘প্রতিকৃতিতে উল্লেখিত লেখা সংশোধন ও দোষিদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
ড্রীম ওয়ার্ল্ড পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মুর্তজা মুন্না বলেন, আমরা চার বছর আগে নোফেল গ্রুপ থেকে এ পার্কটি লিজ নিয়েছি। এ বিষয়টি আগে আমার চোখে পড়েনি। পূর্বে যারা পার্কটি পরিচালনা করতো এটি তাদেরই করা। যেহেতু এখন জেনেছি আমি চেয়ারম্যানের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে ব্যবস্থা নেবো।
ড্রীম ওয়ার্ল্ড পার্কের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, ‘আমরা নেয়ার আগেই এভাবে ছিলো, আমরা এটা করিনি। খুব দ্রুতই সংশোধন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে রাত ৯ টা ৩২ মিনিটের দিকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি