ঢাকা, রবিবার ১৯ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

বিকল্পধারা ছাড়ছে গোলাম সারোয়ার মিলন

ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2022-07-12, 12.00 AM
বিকল্পধারা ছাড়ছে গোলাম সারোয়ার মিলন

বিকল্পধারা বাংলাদেশ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারোয়ার মিলন। আজ ১২ জুলাই মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় মানিকগঞ্জের সিংগাইরে তার নিজ বাসভবনে ঈদ পরবর্তী মতবিনিমিয় সভায় তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি জানান, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল তার সাথে বেঈমানী করেছে, মহাজোট থেকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা থাকলেও দল তাকে সমর্থন না করে মমতাজ বেগমকে সমর্থন করে। দলের তৎকালীন এমন সিদ্ধান্তে তিনি হতাশ। দীর্ঘদিন তিনি দলের কার্যক্রম থেকে দূরে সরে রয়েছেন। অবশেষে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান। মিলন বলেন, ঢাকা গিয়ে তিনি অফিসিয়ালি পদত্যাগপত্র জমা দিবেন। মিলন জানান, তিনি জনগণের জন্য তাদের পাশে থেকে কাজ করতে চান, তাই আগামীতে তিনি নির্বাচন করার করতে চান। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তবে আগামীতে তিনি কোন দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন, বা কোন দলে যোগ দিবেন এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তবে আগামীতে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই রাজনীতির মাঠে থাকতে চান। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কোন দলের নন, তিনি বাংলাদেশের আদর্শ। প্রসঙ্গত, গোলাম সারোয়ার মিলন মানিকগঞ্জ জেলার রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী, মানিকগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ছিলেন। গোলাম সারোয়ার মিলন ৬ নভেম্বর ১৯৫৭ সালে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত মোতাহার হোসেন সরকারি চাকরি করতেন। মা মৃত হাসিনা বিশ্বাস। স্ত্রী ফাতেমা সারোয়ার, ইডেন কলেজ থেকে মাস্টার্স করেছেন। তার এক মেয়ে এবং এক ছেলে। তিনি পুরান ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেন। গোলাম সারোয়ার মিলন ১৯৮১ থেকে ১৯৮২ মেয়াদের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তিনি এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনের অভিযোগে কারাবরণ করেন। ১ জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনীত হয়ে ছিলেন। ৭ মে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ৩ মার্চ ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন মানিকগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরশাদের মন্ত্রিসভায় তিনি শিক্ষা-উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী শামসুল ইসলাম খানের মৃত্যুর পর ১৯ এপ্রিল ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন মানিকগঞ্জ-৪ আসনে পরাজিত হয়ে ছিলেন। ১১ জানুয়ারি ২০০৭ সালের আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলে (পিডিপি) যোগদেন। পরবর্তীতে আবারও জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারায় যোগ দিয়ে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে কুলা প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়ে ছিলেন। বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও এফবিসিসিআইর সদস্য তিনি। তিনি লাইফ স্টাইল এন্ড কোম্পানি, দেশ লংকা লিমিটেড, পেন্টা হলিডে রিসোর্ট ও পেন্টা গ্রুপ বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।