রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়েছে।রোববার (১০ জুলাই) সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। জামাত শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
পাশাপাশি সম্প্রতি বিশ্ব ও বাংলাদেশজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া মোনাজাতে সবার গুনাহ মাফ ও মৃত ব্যক্তির কবরের আজাব মাফ চাওয়া হয়েছে। বিশ্ব শান্তির জন্য দোয়া করা হয়।
এছাড়া হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
এর আগে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাতের খুতবায় ‘মনের পশুকে জবাই’ করার আহ্বান জানিয়ে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
এ জামাতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লাখো মুসলমান অংশ নেন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর পর গত ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাতও জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান জমাতে বিকল্প ইমাম হিসেবে ছিলেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান এবং মোকাব্বির ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মাওলানা হাবিবুর রহমান মেশকাত।
দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদগাহে একসঙ্গে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার নারীর নামাজের সুব্যবস্থা রয়েছে।
ঈদের প্রধান জামাতের জন্য প্রায় ৩০ হাজার বর্গমিটারের ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায়ের অনুরোধ জানান মুফতি রুহুল আমিন। এর পরে জামাত অনুষ্ঠিত হয়।