ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

জুলুম নির্যাতনকারী কে এই চেয়ারম্যান !

চৌধুরী আনিসুর রহমানঃ

2022-04-02, 12.00 AM
জুলুম নির্যাতনকারী কে এই চেয়ারম্যান !

ভোলার ত্রাস ও অদৃশ্য শক্তির নাম স্বপন চেয়ারম্যান। ভোলার চরে জেগে ওঠা সরকারী-বেসরকারি ২৬ হাজার ৯শ একর চর দখল করে নিয়েছেন এই চেয়ারম্যান। বর্তমানে তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক। দুদকের ভয়ে বেশির ভাগ এক্যাউন্টই করেছেন তার ভাই, বোন, ভাগিনা, ভাগ্নীদের নামে ও বেনামে। পাঁচ পর্বের তদন্ত প্রতিবেদনের আজ িদতীয় পর্ব।

খায়ের হাট বাজারে জমি দখলঃ
 খায়ের হাট বাজারে সরকারী ও মালিকানা জমি দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করে মার্কেট  তৈরি এবং আইচ প্লান্ট স্থাপন করেছেন। ঐ বাজারে কাসেম প্রভাষকের মার্কেট ভবনে রুপালী ব্যাংক থাকা অবস্থায় প্রভাব খাটিয়ে স্বপন চেয়াম্যানের নির্মিত নতুন ভবনে রূপালী ব্যাংক স্থানান্তর করে নিয়েছেন। অপরদিকে কাশেম প্রফেসর এর গাড়ি ঘাটার আইস প্লান্ট জোর পূর্বক বন্ধ করে দিয়েছেন। তার হাই কোটে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় প্রায় কোটি টাকার মূল্যের জমি জবর দখল করে রেখেছেন। বর্তমানে নিঃস্ব প্রায়। কাসেম প্রফেসরঃ ০১৭১৫-০৪৫৭৬৩

 খায়ের হাট বাজারে নিরব কবিরাজ, কাদের ফকির, ছিডু সর্দার ও লিটন মেম্বারের ঘর জোড় করে ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে আইচ প্লান্ট স্থাপন করেছেন স্বপন চেয়ারম্যান।
নিরব কবিরাজঃ ০১৭১৩-৯৫৯৬১৪। কাদের ফকিরঃ ০১৭৭৯-৬২৭২৮২।

দক্ষিণ দিঘলদী/ বাংলাবাজারসহ পার্শবর্তী ইউনিয়নের জমি জবর দখলঃ
 দক্ষিণ দিঘলদী এবং বাংলাবাজারে বিভিন্ন দরবারকৃত জমির ভূয়া মালিকানা ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রকৃত মালিক পক্ষকে জমি থেকে বেদখল করে রাখে। প্রকৃত মালিক পক্ষ চেয়াম্যান এর সাথে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে।

 দক্ষিণ জয়নগর ১ নং ওয়ার্ডের টিন ওয়ালা মিয়ানুদ্দিন বাড়ীর মফিজের ২০ শতাংশ জমি প্রতি পক্ষের সাথে দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা না পেয়ে ঐ জমি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে বেদখল করে রেখেছে চেয়ারম্যান। মফিজ ঃ ০১৬২৩-১৩৬৮১৬।

 দক্ষিণ দিঘলদী শান্তির হাট বাজার ইলিয়াছদের জমি নিয়ে অন্যের সাথে বিরোধ থাকায় দীর্ঘ বছরের তৈরি মার্কেট ভেঙ্গে দেয়। মামুন মেম্বারের মাধ্যমে ইলিয়াছের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে তার বিপক্ষে অবস্থান নেন চেয়ারম্যান। ইলিয়াছ ঃ ০১৭৯৯-০৯৫৭১৪।

 টেরকার চরের ৪০ একর জমির মালিক টুমেন চৌধুরী । তার জমি দীর্ঘ বছর ধরে স্বপন চেয়ারম্যান  জবর দখল করে রেখেছেন। টুমেন চৌধুরীঃ ০১৭৪৮-৯২৪৫৪৩।
 বাংলাবাজার দক্ষিণ পাশে গফুর সিকদার মসজিদের পশ্চিম পাশে জয়নাল মেম্বারের ভাগ্নে মাসুদ রানার ২২ শতাংশ জমি জবর দখলে নিয়ে যায় চেয়ারম্যান। মাসুদ রানার ঃ ০১৭২৩-৯৭৭৩৬৬।

 দক্ষিণ দিঘলদী ৩ নং ওয়ার্ড বটতলা বাজারের  সৌদি প্রবাসি আলী আকবরের ৫৩৪ নং খতিয়ান এবং ১৪৩৩ নং দাগের ১ একর জমি জবর দখল করে রেখেছে চেয়ারম্যান। অপরদিকে নাজমুল কাজির কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে আকবরের জমি দখল করে ঘর নির্মান করে দেয়। আকবর ঃ ০০৯৬৬৫০০৭৬৩৬৮২।

দক্ষিণ দিঘলদী ৯ নং ওয়ার্ডের খন্দকার বাড়ীর মৃত  লুতফর রহমানের ৯ শতাংশ জমি জবর দখল করে নিয়েছে স্বপন চেয়ারম্যান। জমি ফেরত চাওয়ায় চেয়ারম্যান তাকে হুমকি দিয়ে দেশ ছাড়া করে রেখেছেন। লুতফর এর স্ত্রী ফাতেমা বেগমঃ ০১৭৫৬-১২৪৩৩৮।

 দক্ষিণ দিঘলদী ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৈয়দ মাল ও ছিদ্দিকের সাথে বিরোধ থাকায় ভুয়া কাগজ পত্র  দেখিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দক্ষিণ জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জসিম এর ২০ শতাংশ জমি, সিরাজ মালের ১৬ শতাংশ জমি, নুরুল ইসলাম মালের ১০ শতাংশ জমি ও খলিল কাজীর ১০ শতাংশ জমি জবর দখল করে নিয়েছেন স্বপন চেয়ারম্যান।
জসিম স্যারঃ ০১৭২১-০৪৮৭৫৮, সিরাজ মালঃ ০১৭২৯৮৭৪৬০৭

 দক্ষিণ দিঘলদী ১ নং ওয়ার্ডের কাজী বাড়ির মিলন কাজীর বাগানসহ ১ একর জমি বাচ্চু কাজীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঐ জমি জবর দখল করে দেয়। মিলন কাজীঃ ০১৭২৮-৭৪৮৫৮২।

 দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের নজরুলের জমি জবর দখল করে ঘর ভেঙ্গে দিয়ে আক্তারের কাছ  থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ঐ জমি আক্তারকে দেওয়া হয়েছে। নজরুলঃ ০১৭৫৮৯২৯০৩৯।

বিভিন্ন চরে বিভিন্ন ব্যক্তিদের শত শত একর জমি জবর দখলঃ
 বাগমারাসহ জেগে উঠা চরে শত শত মানুষের জমি দীর্ঘ বছর ধরে শত শত একর জমি জবর দখল করে রেখেছে স্বপন চেয়ারম্যান। এ সব মানুষ ভয়ে মুখ খুলছে না । আবার তোফায়েল আহমেদ এর কাছে বিচার দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে তারা এখন পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

 উত্তর জয়নগরের ৫ নং ওয়ার্ডের কামাল ও হুমায়ুন এর ভেলুমিয়া চরের ৩৮ একর জমি চেয়ারম্যান জবর দখল করে নিয়েছেন। কামাল ও হুমায়ুন ভোলা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও বিচার পাননি।
কামাল হোসেন, ০১৭১১৮৭১৪৬১, হুমায়ুনঃ ০১৭৬৭২৮১৭৩২।

 টেরকার চর ও পাতাবুনিয়ার চরে বাটামারার কাঞ্চন মাস্টারের জমি জবর দখল করে নিয়েছে স্বপন চেয়ারম্যান। কাঞ্চন মাস্টারঃ ০১৭৫৩-৯১১৬১০।

 দক্ষিণ দিঘলদী বটতলা বাজারে নাগর মাস্টারের জমি জবর দখল করে মার্কেট নির্মাণে কাজ চালাচ্ছেন স্বপন চেয়ারম্যান।

দক্ষিন দিঘলদীর বাসীন্দা মোস্তফা কামালের বাঘমারা চরে ৫ একর জমি জবর দখল করে নিয়েছেন স্বপন চেয়ারম্যান। বহু দেনদরবার করেও এখন  পর্যন্ত জমি উদ্ধার করতে  পারেনি।
 মোস্তফা কামাল মোবাইলঃ

চরলতিফ/টেকরার চরে সরকারী ও মালিকানা জমির মাটি বিক্রিঃ
 চরলতিফ/টেকরার চরে সরকারি কেল্লা ও মালিকানা জমি দখল করে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে ঢাকার বিভিন্ন ইট ভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন স্বপন চেয়ারম্যান। চরে প্রতিটি কিল্লার মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা।

 দক্ষিণ দিঘলদী ৯নং ওয়ার্ডের আলীছুন মুন্সি ও ১নং ওয়ার্ডের নিরব সিকদারের জমি জবর দখল করে ঢাকার ইট ভাটার ব্যাবসায়ীদের কাছে মাটি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
আলীছুন মুন্সিঃ ০১৭৪৯-২৪২৬৮৩। নিরব সিকদারঃ ০১৭১২-৯৪৬১৬৬।

 গঙ্গাপুরের মাওলানা মাহাবুবের টেরকার ও পাতাবুনিয়ার চরের জমি জবর দখল করে মাটি কেটে বিক্রি দিয়েছে স্বপন চেয়ারম্যান। মাহাবুব মাওলানার ভাইঃ ০১৭৪৯২৪২৬৬৩।

বাঘমারাসহ বিভিন্ন চরে ঘাস বিক্রিঃ
 চরকুঞ্জ, বাঘমারা চর, চরশ্রীনাথ দাস রেকর্ডীয় জমি জবর দখল করে গরু মহিষের ঘাস বিক্রি করার জন্য লগ্নি বাবদ প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন স্বপন চেয়ারম্যান। দক্ষিন দিঘলদীর জামাল মাতাব্বর ও ইব্রাহিম মাতাব্বর সহ কয়েকজনের মাধ্যমে এসব ঘাস বিক্রি করেন। ঘাস ক্রয়কারীঃ দক্ষিন দিঘলদীর আল আমিন ঃ ০১৭২৩৫২২০০৬, রুহুল আমীনঃ ০১৭৫৬৯৪০৮৯০, কয়ছর মাতাব্বরঃ ০১৭৭৬১৩৯৬১৮, রাশেদঃ ০১৭২২-০৫১৬৮৬, মিজানঃ ০১৭৬২-০৬৭৬৬১, ফখরুলঃ ০১৭২৩-২৬৫৪১০, সুলায়মানঃ ০১৭২১-৮৩৩৪১৫, কাশেমঃ ০১৩১৬-১৮৩১১৯, রুবেলঃ ০১৭০৫-৫৩৫৬০৪, নিরবঃ ০১৭৩৪-৭৭০০২১, সেলিমঃ ০১৭৯৮-৬৩৩০৮৬।
চরে টাকার বিনিময়ে গরু মহিষ পালনঃ
বাঘমারা সহ বিভিন্ন চরে গরু মহিষ পালন করতে হলে স্বপন চেয়ারম্যানকে প্রতিমাসে জোড়া প্রতি ১৪,০০ টাকা করে দিতে হয়। চরে প্রায় ৩ হাজার জোড়া মহিষ রয়েছে।

বাঘমারা, চরলতিফ/টেরকার চরে তরমুজ চাষিদের কাছে জমি লগ্নিঃ

বাঘমারা, চরলতিফ/টেরকার চরের তরমুজ চাষিদের কাছে কানি প্রতি ২০ হাজার টাকা করে জমি লগ্নি বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন স্বপন চেয়ারম্যান। ইব্রাহিম মাতাব্বর, জামাল মাতাব্বর এর মাধ্যমে টাকা নিয়ে থাকেন।
 লিটন এর কাছে ২০০ কানি, রাসেল হাওলাদার এর কাছে ৩৫ কানি, নুরুল ইসলাম ঢালীলর কাছে ৪০ কানি, আলী আজগর এর কাছে ৪০ কানি, মোঃ শফিক এর কাছে ৩০ কানি, আফজাল এর কাছে ৪০ কানি সহ প্রায় শতাধিক তরমুজ চাষিদের কাছে শত শত একর জমি লগ্নি করে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। চর লতিফ নিয়ন্ত্রন করছেন রুবেল চৌকিদার, বাঘমারার চর, ভেদুরিয়ার ফরিদ মেম্বার। ইব্রাহিম মাতাব্বরঃ ০১৭০৩৩৩৩৩৪৭, জামাল মাতাব্বরঃ ০১৭৪৮-৬১৭৫৫৪ এরা দুইজন চেয়ারম্যান এরপ্রতিনিধি। এরা চরে লগ্নির দয়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। রুবেল চৌকিদারঃ ০১৭২৪-০০০৫৬০৪, ফরিদ মেম্বারঃ ০১৭২১৮৭৪১৬৫ এই দুইজন এর নেতৃত্বে তরমুজ চাষাদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়।

 তরমুজ চাষীদের মোবাইলঃ লিটন ০১৭১৩৯৩৩২১২, রাসেল হাওলাদারঃ ০১৭৩৯২২৬৯৯৫, নুরুল ইসলাম ঢালীঃ ০১৭২৪৯৬০১৪৮, আলী আসগরঃ ০১৭৩০৬৮৬৪০৫, শফিক ০১৭১৩৯৫৩০৭২, আফজালঃ ০১৭১০৭৮১১৩৬।

এদের মধ্যে চরফ্যাশনের রুবেল চৌকিদারের কাছ থেকে ৩ মাসের জন্য ১২ লাখ টাকা স্বপন চেয়ারম্যান নিয়েছেন।
স্বপন চেয়ারম্যান কর্তৃক বাঘমারার চরের চাষাঃ
 হানিফ, মোশারেফ, ইউসুফ, মেহেদী, হোসেন, সজিব। এরা স্বপন চেয়ারম্যান এর জবর দখলীয় জমির চাষা। এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জমির রহস্য বেরিয়ে আসবে।
মোশারেফঃ ০১৭৭৯-৩৯৯৩২৪, ইউসুফঃ ০১৭৬৮-৬৬৭০৮৪, মেহেদীঃ ০১৭৮২-২৮৪০২৬,
হোসেনঃ ০১৭৫৮-৪৩৭২০, সজিবঃ ০১৩১০-০০৫৬২৫, হানিফঃ ০১৭৮৫-৯৩৯৭৭৫।

বাঘমারা ও তেতুলিয়ার চরে জমি লগ্নী করে টাকা নিয়ে জমি না দেওয়াঃ
 স্বপন চেয়াম্যান বাঘমারা ও তেতুলিয়া চরে শত শত কৃষকদের কাছ থেকে জমি লগ্নি বাবদ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে আর জমি লগ্নি দেয়নি। এমনকি তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি।

 দক্ষিণ দিঘলদী ৩ নং ওয়ার্ডের বজলুর রহমান এর কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা এজাজ মাতাব্বর এর মাধ্যমে জমি লগ্নি বাবদ নিয়ে আর জমিও দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি।
বজলুর রহমানঃ ০১৭৫৭-৮৪৪৯৮১।

অন্যের জমি দখল করে আইচ প্লান্ট ব্যবসাঃ
 স্বপন চেয়ারম্যানের বাড়ির দক্ষিণ পাশে খায়ের হাট বাজার সংলগ্ন অন্যের জমি জবর দখল করে আইচ প্লান্ট ব্যবসা করছেন এবং পার্শ্ববর্তী চলমান আইচ প্লান্ট গুলো তার পালিত চেলা চামুন্ডা দ্বারা জোর পূর্বক বন্ধ করে দিয়েছেন।

 স্বপন চেয়ারম্যানের আইস প্লান্ট ব্যাবসা একক ভাবে পরিচালনার জন্য শান্তির হাটের মোজাম্মেল হাওলাদারের ছেলে বাবুল হাওলাদারের আইস প্লান্ট জোর পূর্বক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাবুল হাওলাদার ঃ ০১৭২৫-৮১৪৬০।

নারী কেলেঙ্কারীঃ
 ক্ষমতার দাপটে, চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন তরুণীদের জিম্মি করে তাদের সাথে যৌন মেলামেশা ও  আমোদ প্রমোদসহ এমন কোন ছোট খাটো অপরাধ নেই, যা স্বপন চেয়ারম্যান করেন না। তার নারী অপকর্মের হাজারো ঘটনা থাকলেও ভয়ে প্রকাশ পাচ্ছে না।

ফাতেমা খানম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামালের যোগিরঘোল এর বাসায় সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে মনোরঞ্জনে লিপ্ত থাকেন স্বপন চেয়ারম্যান।

 দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদে তথ্য সেবায় চাকুরী দেওয়ার নামে সুন্দরী তরুনীদের জিম্মি করে যৌন মেলামেশায় লিপ্ত হন।

 দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবায় সাবেক চাকুরীরত দলিল উদ্দিন খায়ের হাটরে শিল্পী, দক্ষিণ দিঘলদীর বটতলার সিমা আক্তার, বর্তমানে কর্মরত আলী নগরের ঝুমুসহ অনেক তরুনী স্বপন চেয়ারম্যানের যৌন লালসার স্বীকার হয়েছে। বর্তমানে ঝুমু কর্মরত থাকা অবস্থায় তাহার সাথেও প্রতিনিয়ত দৈহিক মেলামেশা করতে বাধ্য করে আসছে। ঝুমুরকে আলীনগরের একটি আলীশান বাড়ী তৈরি করে দিয়েছেন মর্মে গুঞ্জন রয়েছে।


 স্বপন চেয়ারম্যানকে খুশি রাখতে সর্বদা বিভিন্ন স্থান থেকে তরুনীদের সংগ্রহ করে দিচ্ছেন দক্ষিণ দিঘলদীর নুরু মেম্বার, নাজিম মেম্বার, ফকরুল হাওলাদার, নাগর, লম্বা সিরাজ, মানিকার মোশারেফ ও বাংলাবাজারের গ্যাস নাছিরসহ বেশ কয়েকজন দালাল।  

খায়ের হাটের শেরু মিয়ার মেয়ে মৌসুমীর সাথে দীর্ঘ বছর স্বপন চেয়ারম্যান এর মেলামেশার ঘটনা এখন ওপেন সিক্রেট।

 ৩ নং ওয়ার্ডের বাঘমারার উত্তর পাশে বেড়ির পাশে সেলিম দালালের বাসায় বিভিন্ন নারীদের নিয়ে দেহ ব্যবসা করে। সেখান থেকে মোটা অংকের টাকা চেয়ারম্যানকে দিতে হয়।

 মা ও শিশু কল্যাণের স্টাফ সুইটির সাথে দীর্ঘদিন ধরে স্বপন চেয়ারম্যান যৌন মেলামেশা করে আসছে। তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে হুমকি দিয়ে দূরে সরিয়ে রাখে।

মাদক ব্যবসা ঃ
 দক্ষিণ দিঘলদী বটতলা বাজারের কুক্ষ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মাইনউদ্দিন ও ৯ নং ওয়ার্ডের গাজা ব্যবসায়ী জহুর ভান্ডারীর মাধ্যমে ইয়াবা ও গাজার ব্যবসা পরিচালনা করছেন স্বপন চেয়ারম্যান। মাঝে মধ্যে মাইনউদ্দিন ও জহুর ভান্ডারী গ্রেফতার হলেও উচ্চ পর্যায়ের তদবিরে অল্প কয়েক দিন পরেই জেল থেকে বেড়িয়ে এসে আবার ইয়াবা ও গাজার ব্যবসা চালাচ্ছেন।

ভিজিডি ভিজিএফ এর চাল আত্মসাৎ ঃ
 পরিষদের মাধ্যমে গরীব দুঃখী দুস্থ অসহায় বিধবা নারী এবং জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল পরিমাপে কম দিয়ে সে চাল আত্মসাৎ করে থাকেন। এমনকি ভিজিডি ও ভিজিএফ এর চাল দেওয়ার নাম করে দীর্ঘদিন ধরে নারীদের যৌন হয়রানি করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মহামারি চলাকালীন সরকারি ত্রাণ বিতরণে ব্যাপক স্বজনপ্রীতি ও সীমাহিন অনিয়ম করেছেন স্বপন চেয়ারম্যান।
 করোনাকালীন প্রধান মন্ত্রীর অনুদান দেওয়া ২৫০০ হাজার টাকা বিতরণে ব্যাপক স্বজনপ্রীতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মোবাইল নাম্বার দিয়ে ঐ টাকা আনা হয়েছে। প্রকৃত যারা পাওয়ার তারা কেউই পায়নি। সিম নাম্বারগুলো তল্লাশের অনুরোধ করা হইল।

 টি আর, কাবিখা, দক্ষিণ দিঘলদীর বিভিন্ন রাস্তা ঘাট কালবার্ট ও ৯ নং ওয়ার্ডের মন্দির দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দ এনে আত্মসাৎ করেছেন স্বপন চেয়ারম্যান। সেখানে কোন মন্দির নেই।

পরিষদের সচিব সফিকের মাধ্যমে দূর্ণীতি করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে স্বপন চেয়ারম্যান।
 ইউনিয়নের চাল গোডাউন থেকে বের হওয়ার আগেই চেয়ারম্যানের নির্দেশে দালালদের মাধ্যমে ডিলারদের কাছে বিক্রি করে থাকেন সচিব সফিক। সচিব সফিক এখন অঢেল সম্পত্তির মালিক।

ক্ষমতার দাপট ঃ
 স্বপন চেয়ারম্যানের ক্ষমতার দাপটের কাছে ক্ষোদ আওয়ামীলীগের বহু নেতা কর্মী নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে নিজ দলের নেতা কর্মীদের উপর প্রতিশোধ নিতে তোফায়েল আহমেদ এর গাড়ী বহরে হামলা এবং এমপি আলী আজম মুকুল এর গাড়ী বহরে বোমা নিক্ষেপের সাথে জড়িত  বিএনপির বেশ কিছু চিহ্নিত ক্যাডার ব্যবহার করছে। ত্যাগী ও নির্যাতিত আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখে বিএনপির ক্যাডারদের মাধ্যমে সকল কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। তার ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের কর্মী শূন্য হয়ে পড়েছে। তার অত্যাচার ও জিম্মিদশা থেকে বাচতে নেতা কর্মীরা সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমেদ এর আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ইউছুফ মোল্লা, সভাপতি ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগঃ ০১৭৫৪-৩৯৯৭০৩। নসু মিজি, সহ-সভাপতি ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগঃ ০১৭২৬-০১৩৩১৩। আলমগীর মাঝি,
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাঃ ০১৭৬৪-৭৫২৭২৭। মিলন মাতাব্বর সাধারণ সম্পাদক, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ। মিলন  মাতাব্বরঃ ০১৭৩১-৪০৭৭৬৭। সৈয়দ আহাম্মদ সিকদার, প্রচার সম্পাদক দক্ষিণ দিঘলদী আওয়ামীলীগঃ ০১৭৪০-৬৩৮৯৬৬, আব্দুল আজিজ মোক্তার, ইউপি সদস্য ২ নং ওয়ার্ডঃ ০১৭৪৩-৫৪২৫১৩। দক্ষিণ দিঘলদী ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেনঃ ০১৭১৯-১৭২৫৫১।

 রেশন কার্ডের চাল বিতরণে স্বপন চেয়ারম্যান এর মামা মাহাতাব উদ্দিন খান এবং সাবেক মেম্বার মামুন ও সাবেক মেম্বার নাজিমকে পছন্দের ডিলার হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তারা ওজনে কম দিয়ে ঐ চাল বিতরণ করছেন। মাহাতাব খানঃ ০১৭৭৭৩৮৬২০৫। নাজিম মেম্বারঃ ০১৭৩১-৩৯৯২৮১।

দক্ষিণ দিঘলদীর মা বাবার দোয়া ইটভাটার মালিক মিঠু সোহেল নামের এক যুবককে পার্টনারের ব্যবসার প্রলোভন দিয়ে তার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মিঠুর মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে স্বপন চেয়ারম্যান।  পরবর্তীতে তাকে আর পার্টনার করা হয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি। গুঞ্জন আছে স্বপন চেয়ারম্যানকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য মিঠুর অবিবাহিত বোনকে চেয়ারম্যান এর সাথে লেলিয়ে দেয়। সোহেলঃ ০১৭৮৩-৮৫৪৩৩৮

 খায়ের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ কোড়ালিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ফাতেমা খানম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নেয়ামতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পশ্চিম বালিকা দাখিল মাদ্রাসা সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে সভাপতির পদে নিযুক্ত থেকে প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্বপন চেয়ারম্যান। বিশেষ করে নেয়ামতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজের মাধ্যমে বেসরকারি খাতের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

স্বপন চেয়ারম্যান এর কাছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও বাড়ীর পাশের লোকজন জিম্মিঃ
 স্বপন চেয়ারম্যান এর কাছে বাংলাবাজার ও দক্ষিণ দিঘলদীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও আশপাশের লোকজন জায়গা জমি ও ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে তার কাছে জিম্মি হয়ে আছে।  টাকার বিনিময়ে একজনের জমি অন্যজনকে পাইয়ে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বাড়ীর পাশের মুনছুর আহমেদ, ফাতেমা বেগম, মনির ফকির ও কয়ছর মাতাব্বর এর পরিবারসহ অনেক পরিবারই স্বপন চেয়ারম্যান এর কাছে জিম্মি হয়ে আছে।
মুনছুর এর ছেলে বাবুলঃ ০১৭১৪-৫২৪৯৪৯, ফাতেমা বেগমঃ ০১৭৫৬-১২৪৩৩৮, মনির ফকিরঃ ০১৭৩৩-৭৬০৪৭৯, কয়ছর মাতাব্বর ভাই সুলতানঃ

 বাংলাবাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী হানিফ মেম্বারসহ একাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা মূল্যের রড, সিমেন্ট, ইট নিয়ে তাদেরকে আর  টাকা দেয়নি স্বপন চেয়ারম্যান। হানিফ মেম্বারঃ ০১৭১৬-৩৭৮০৩০।
ডিস ব্যাবসা নিয়ন্ত্রনঃ
 বাংলাবাজার, দক্ষিণ দিঘলদী ও আস পাশের এলাকায় ডিস ব্যবসা (ক্যাবল) করতে হলে স্বপন চেয়ারম্যানকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়।
 বাংলাবাজার থেকে কুঞ্জের হাট পর্যন্ত ডিস ব্যাবসার থেকে স্বপন চেয়ারম্যানকে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা করে চাদা দিতে হয়।

দক্ষিণ দিঘলদী ২ নং ওয়ার্ডের আলমগীরের ছেলে ডিস ব্যবসায়ী বাবুর ২০ লাখ টাকার লাইন জবর দখল করে নিয়েছেন স্বপন চেয়ারম্যান। বাবু স্বপন চেয়ারম্যান এর পায়ে ধরেও আর লাইন ফেরত পাননি।

বাগদা চিংড়ি ও জাটকা/ মা ইলিশ পাচারঃ
 বাগদার মৌসূমে এবং ঝাটকা/ মা ইলিশ রক্ষার অভিযানের সময় ভোলা জেলার দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন ও তজুমদ্দিন উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলাগুলো থেকে বাগদা সংগ্রহকারীরা স্বপন চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি দস্যু নুর হোসেন (নুরু মেম্বারের) মাধ্যমে দক্ষিণ দিঘলদীর নৌ রুট ব্যবহার করে বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটি কোটি টাকার বাগদা পাচার করছে। একই ভাবে মা ইলিশ রক্ষায় জাটকা নিধন অভিযানের সময়ে স্বপন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এই রুট দিয়ে লাখ লাখ টাকার জাটকা/ মা ইলিশ পাচার করে আসছে। বিনিময়ে সে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসলেও কোস্টগার্ড ও পুলিশ প্রশাসন চেয়ারম্যান ও তার প্রতিনিধি নুরু মেম্বারের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

তেঁতুলিয়া নদীতে জলদস্যুতা ও চাইর ব্যবসাঃ
 তেঁতুলিয়া নদীতে সৃজনের ৩ মাসের জন্য চাইর ব্যবসার নামে (মাছ ধরা) নুরু মেম্বারের কাছ থেকে ৩৫-৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকেন স্বপন চেয়ারম্যান। প্রতিনিয়ত জলদস্যু কামাল ও মহসিন এর মাধ্যমে জেলেদের জিম্মি কারে মাছ ও টাকা এবং চরে পালিত গরু মহিষ ডাকাতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাচ্ছেন চেয়ারম্যান। জলদস্যুতার কাজে চেয়ারম্যান এর নিজেস্ব ট্রলার ব্যবহার করা হয়। চাইর ব্যবসার অন্তরালে নুরু মেম্বার জলদস্যুতা করে লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছেন। নুরু মেম্বারঃ ০১৭১৮-৮৫২৩৮৭।

 তেঁতুলিয়া নদীতে বিভিন্ন ছোট বড় জেলেরা সৃজনী মাছ ধরতে গেলে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা করে চাঁদা দিতে হয় স্বপন চেয়ারম্যানকে। আবার মাছ ক্রয় করেও ন্যায্য মূল্য দেয়না।

পল্লী বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন জায়গায়
 বাংলাবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল প্রকার মালামাল লোড আনলোড করতে স্বপন চেয়াম্যানের নিজস্ব লোকজন ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ঠিকাদারগণ কাজ করতে গেলে নির্ধারিত হারে (৩০%) তাকে চাঁদা দিতে হয়।
 স্বপন চেয়ারম্যান এর মামাতো ভাই মারুফ, বিএনপি ক্যাডার ফখরুল হাওলাদার, গাড়িঘাটার খাট নাগর দক্ষিণ দিঘলদীর ৭ নং ওয়ার্ডের আলাউদ্দিন ও অলি উল্যাহসহ আরো কয়েকজনের মাধ্যমে স্বপন চেয়ারম্যান পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করে লুটে পাটে খাচ্ছেন। এদের মাধ্যমে গ্রাহকদের লাইন দেওয়ার নামে প্রতারণা করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

 করোনা লকডাউনের অযুহাতে দক্ষিণ দিঘলদী ও বাংলাজার সংযোগসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে গাছের বেরিকেট সৃষ্টি করে মালবাহি ট্রাক, মালবাহি জাহাজ ও ট্রলারসহ বিভিন্ন পরিবহন আটক করে পরিষদের চৌকিদারদের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজী করে নিয়েছেন স্বপন চেয়ারম্যান।

লকডাউনের সময় দক্ষিণ দিঘলদীর ৩ নং ওয়ার্ডের অনন্দ বাজারে মুদি ব্যবসায়ী হারুনের মুদির দোকান খোলা রাখার অযুহাতে তার ছেলে রনির কাছে চৌকিদার জসিমের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায় স্বপন চেয়ারম্যান। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় হারুন ও তার ভাই ইউছুফ এবং ছেলে রনিকে চৌকিদার জসিমের নেতৃত্বে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। ৩ মাস দোকানটি বন্ধ ছিল।
হারুন ০১৭১০-৫০৯৯৮৯।

 দক্ষিণ দিঘলদী ৩ নং ওয়ার্ডের বটতলা বাজারে কাদের সিকদারের নিজ জমিতে দোকান ঘর উত্তোলন করতে গেলে তার কাছে সেলিম মেম্বারের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে স্বপন চেয়ারম্যান। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় চৌকিদারের মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাদের সিকদারঃ ০১৭৯৪-৮৩৪৭২৭।
 দৌলতখানের রংধনু ইটভাটার মালিক নোমান দক্ষিণ দিঘলদী বাগমারা ব্রিজ সংলগ্ন পাথর ব্যবসা করতে গিয়ে স্বপন চেয়ারম্যানকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ দিঘলদীর একজন বড় ব্যাবসায়ীকে জিম্মি করে ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করেছে। বর্তমানে সে দেউলিয়া হয়ে পথে পথে ঘুরে বেরাচ্ছে। স্বপন চেয়ারম্যান এর ভয়ে সে মুখ খুলতে পারছে না।

বাংলাবাজার অটো রিকসা স্টান্ড /বোরাক থেকে চাঁদাবাজীঃ
 বাংলাবাজারসহ দক্ষিণ দিঘলদীর কয়েকটি স্পট থেকে অটো রিকসা থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা তুলে নিচ্ছেন স্বপন চেয়ারম্যান। বাংলাবাজার  অটো স্ট্যান্ডে পরিষদের দুজন চৌকিদার সদস্যের মাধ্যমে অটো রিকসা /বোরাক প্রতি ৩০ টাকা করে প্রতিদিন জোরপূর্বক চাঁদা বাণিজ্য করছেন।

 অটো/ বোরাক রিকসা লাইসেন্স দেওয়ার নামে দেড় হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন স্বপন চেয়ারম্যান। অটো চালক মাইনউদ্দিন মাঝি  ঃ ০১৮৫৬-৭৯৫৬০২, রফিকঃ ০১৭৭৮-৪৪৩৯২৯, হাছনাইনঃ ০১৭২১-২৬৫৩৪৭, ছাদেকঃ ০১৭৪২-২১১৩১২, রুহুল আমিনঃ ০১৭৩৬-৬৫২২০৮, মাইনউদ্দিনঃ ০১৭৩৪-৮০৩৩০২। মিন্টুঃ ০১৭৭৫-৮৩৩১৫
সরকারি গাছপালা নিধন ঃ
 দক্ষিণ দিঘলদীর বিভিন্ন রাস্তার পাশের এবং খায়ের হাট হাসপাতালের সরকারি সকল বড় বড় গাছ গাছালি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা স্বপন চেয়ারম্যান নিজে আত্মসাৎ করেন । এমনকি ঐ গাছপালা দিয়ে নিজ ঘরের দরজা, চৌকাট, পাল্লা ও ফার্ণিচার সামগ্রী তৈরি করেছেন।

জলাশয় দখল ঃ
 বাংলাবাজার থেকে শুরু করে গফুর সিকদার মসজিদ পর্যন্ত রাস্তার পাশে সরকারি জলাশয় দখল করে অবাধে মাছ চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন স্বপন চেয়ারম্যান।


গরুর খামার নির্মাণ ঃ
 স্বপন চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আধুনিক গরুর খামার নির্মাণ করে। সেখানে তেঁতুলিয়া নদীর চরের পালিত হৃষ্ট পুষ্ট গরুগুলো চুরি করে নিয়ে এসে নিজে খামার থেকে বিক্রি করেন।

সালিশ মীমাংশার নামে টাকা আদায় ঃ
 ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য সালিশ মিমাংশার নামে পক্ষ বিপক্ষকে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকেন। এক্ষেত্রে কেউই থানা পুলিশ করার সাহস পায় না। আবার থানা পুলিশ তার নির্দেশ ছাড়া ঐ ইউনিয়নের মামলা নেয় না কিংবা প্রবেশ করে না।

দক্ষিণ দিঘলদীর আবু তাহের মাঝিকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে জিম্মি করে তার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আবু তাহের এর মা চেয়ারম্যানের পা ধরে কোন রকমে রক্ষা পায়।
আবু তাহেরঃ ০১৭১৪৮২৪৩৬৭।

 দক্ষিণ দিঘলদী ৫ নং ওয়ার্ডের শাজাহান গাজীর সাথে প্রতিপক্ষের একটি ঝগড়ার ঘটনায় তার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শাজাহানঃ ০১৭১৯২২০৫২৭।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে টাকা আদায় ঃ
 বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণাধীন মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজী করেছেন স্বপন চেয়ারম্যান।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু কাজীর নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ও মার্কেটের কাজ বন্ধ রেখে ৭ লাখ টাকার চাঁদার বিনিময়ে পরবর্তীতে কাজ করার অনুমতি দেন স্বপন চেয়ারম্যান। ইসমাইল কাজীঃ ০১৭১৬-৫২৩২৭৬।

বাংলাবাজার মসজিদ মার্কেট সংলগ্ন ইয়ামিন শপিং কমপ্লেক্স এর কাজ চলা অবস্থায় মালিক পক্ষ সজল এর কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা চায় স্বপন চেয়ারম্যান। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ রাখে। টাকা দেওয়ার পর আবার কাজ চালু করে। সজলঃ ০১৭১১-০৭৪৭৯৪।
টাকার বিনিময়ে জমির মালিকানা হস্তান্তর ঃ
 দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাসেম হাওলাদারের হাই কোর্ট থেকে তিনবারের রায় পাওয়া ১ একর ৪০ শতাংশ জমি জিয়ারুল ও ফখরুল হাওলাদারদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে তাদেরকে ঐ জমি জবরদখল করে দিয়েছেন এবং ঐ জমি থেকে ৩ লাখ টাকার মাছ লুট করে নেয়। বটতলা বাজারের গিয়াসউদ্দিন মৃধার ৪ শতাংশ জমি স্থানীয় সেলিম মেম্বারের মাধ্যমে ২ লাখ টাকার বিনিময় নাজমুলকে দখল দিয়ে দেন। দক্ষিণ দিঘলদী  ইউনিয়নের খালেক মুন্সির ৮ শতাংশ জমি ইলিয়াস এর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে তাকে ঐ জমি জবরদখল দিয়েছেন। মুনছুর হাওলাদারের কাছ থেকে ২ একর ২৮ শতাংশ জমি টাকার বিনিময়ে জবরদখলে নিয়ে বাসু মিয়া ও মজনু হাওলাদারকে দিয়েছেন। একইভাবে আজিজুল কাজীর ৩ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল নিয়ে মিরাজ কাজীকে দিয়েছেন।

টিউবয়েল দেওয়ার নামে অর্থ অত্মসাৎ ঃ
 ইউনিয়নের বিভিন্ন ব্যক্তিকে  টিউবয়েল দেয়ার নাম করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিয়ে কাউকে আর টিউবয়েল দেননি। এভাবে রামরাজত্ব সৃষ্টি করে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন স্বপন চেয়ারম্যান। তার ক্ষমতার দাপটের কাছে প্রতিবাদ বা মুখ খুলতে কেউ সাহস রাখে না। ফলে বেপরোয়া স্বপন চেয়ারম্যান প্রতিনিয়ত ভয়ংকর অপরাধ সংঘটিত করেও পার পেয়ে যাচ্ছে।

কাজের নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ঃ
 ইউনিয়ন পরিষদের এলজি এসপিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে পুরানো কাজের উপর নেমপ্লেট লাগিয়ে ওই কাজের বরাদ্দকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পরিষদে জন্ম নিবন্ধন কার্ড বাবদ ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা এবং ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন স্বপন চেয়ারম্যান। গাড়িঘাটা থেকে তোফায়েল আহমেদ এর বাড়ীর পাশ দিয়ে তেঁতুলিয়া নদীর পার পর্যন্ত যে সড়কটি গেছে ঐ সড়কের এলজিএসপির বরাদ্দকৃত কালবাট নির্মাণ না করে ঐ কালবাটের উপর ঘাসা মাজা করে নেমপ্লেট বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

বালু উত্তোলনের ব্যবসাঃ
 তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সেলিম সিকদার, নুরু মেম্বার ও এজাজ মাতাব্বরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা করে আসছেন। এমনকি সড়কের উপর দিয়ে এবং অমীমাংশীত দরবারকৃত জমির উপর বালু ফেলে ঐ জমি জবর দখল করে নিয়েছেন স্বপন চেয়ারম্যান। ফলে তেঁতুলিয়া নদীর পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের রাস্তা ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এখনো ভাঙ্গন চলছে। অথচ একদিকে বালু উত্তোলন অন্যদিকে ভাঙ্গন রোধের জন্য সরকার থেকে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ আনা হচ্ছে।
 সরকারি কিল্লা, যার একটি কিল্লার মূল্য ৬-৭ কোটি টাকা। ৬ টি ড্রেজারের মাধ্যমে দৈনিক ২০ লাখ বালু উত্তোলন করে জাহাজের মাধ্যমে নেওয়া হচ্ছে। বালুর ফুট প্রতি স্বপন চেয়ারম্যানকে ১ টাকা করে দিতে হয়। সেলিম সিকদারঃ ০১৭২৯-৯৭৪৫৪৮, এজাজ মাতাব্বর ঃ ০১৭৮৪-৩৯৩০৫৮, নুরু মেম্বারঃ ০১৭১৮-৮৫২৩৮৭।

 স্বপন চেয়ারম্যান এর অবৈধ লেনদেনকারী জেবল হক বেপারী ঃ ০১৭৩৯-৫৫৮৯৫২।

মিলন নেতার অপকর্মঃ
 স্বপন চেয়ারম্যান এর বড় ভাই মিলন নেতা দীর্ঘ বছর ধরে নারীর আমোদ প্রমোদে ব্যস্ত সময় পার করছে। নারীদেরকে বিভিন্ন প্রলোভনে আয়ত্ত্বে এনে প্রতিনিয়ত তাদের সাথে যৌন মেলামেশা করে আসছে। কাউকে টিউবয়েল দেওয়া, কাউকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে, অসহায়দের ভিজিডি বিজিএফ এবং ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের সাথে দৈহিক মেলামেশা করে। তার কাজই হচ্ছে প্রতারণা করা এবং নারীদের সাথে যৌন মেলামেশা করা।

 দক্ষিণ দিঘলদী ১ নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাওনকে চাকরী দেওয়ার নামে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মিলন। রফিকুল ইসলাম ঃ০১৭১১-৩০৬২০১।

স্বপন, মিলন, খোকন ও বাচ্চুর নেতৃত্বে দক্ষিণ দিঘলদী ২ নং ওয়ার্ডের নতুন হাট বাজারের পাশে দেহ ব্যাবসায়ী রিপা ওরপে রিপনী পুরো দক্ষিণ দিঘলদী দাবিয়ে বেড়াচ্ছে। এক সময়ে রিপনী বাংলাবাজারের বড় ব্যবসায়ী রবিউল হাজীর বাসা ভাড়া নিয়ে তাকে জিম্মি করে ঐ বাসায় দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। পরে সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এর হস্তক্ষেপে দৌলতখান উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে ঐ বাসায় অভিযান চালিয়ে দেহ ব্যবসায়ী রিপনীকে উৎখাত করে। রিপনী দক্ষিণ দিঘলদী গিয়ে আস্তানা ঘরে তুলে। আর সেখানেই রিপনীকে আলীশান বাড়ী তৈরী করে দিয়েছেন মিলন। মিলন ঐ বাসায় গিয়ে বিভিন্ন নারীদের নিয়ে যৌন মেলামেশা, মাদক সেবন, দেহ ব্যাবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার রিপনীর মাধ্যমে জনৈক ব্যক্তিকে চাকুরী দেওয়ার নাম করে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মিলন। চাকুরী প্রার্থী চাকুরী না পেয়ে টাকার জন্য রিপনী ও মিলনের ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে দেহ ব্যবসায়ী রিপনী বহু মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে আসছে। রিপনীঃ ০১৭২৮-৮৭১৮৯৫,
ভুক্তভোগী আবদুল আজিজ মোক্তারঃ ০১৭৪৩-৫৪২৫১৩। ইউছুফ মোল্লাঃ ০১৭৫৪-৩৯৯৭০৩।

বাংলাবাজারের পূর্ব পাশে আয়না বিউটি পার্লারে কর্মরত তরুনীদের সাথে যৌনকর্ম চালায় ও সেখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে তরুনীদের এনে জোরপূর্বক যৌন মেলামেশা করে মিলন।

 বাংলাবাজার মসজিদ মার্কেটের গীত বাবুলের দেকানের ৩য় তলায়, মসজিদ মার্কেটের ২য় তলায় মুন স্টুডিও ও রুচি ফাস্টফুডের ২য় তলায় বিভিন্ন নারীদের এনে যৌন কর্মে লিপ্ত হয় মিলন।

 উত্তর দিঘলদী কমরউদ্দিন বাজার সংলগ্ন মোসলেম এর ছেলে রাকিব কে চাকুরী দেওয়ার নামে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মিলন। মোসলেমঃ ০১৭০৫-৫৩০৯৭৯।

 কমর উদ্দিন বাজারের মালেক বেপারীর কাছ থেকে টিউব অয়েল দেওয়ার নাম করে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মিলন। মালেক বেপারীঃ ০১৭২৪-৯৪৩০৯১।

খোকন নেতার অপকর্মঃ
 বাংলাবাজারের মহসিন খন্দকারকে কাজ দেওয়ার নামে তার কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে খোকন। মহসিন খন্দকার ঃ ০১৭১১-৭০২৫৫৪।