রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। ব্যয় হবে ৩৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানিয়েছে, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কেন্দ্রের অফসাইট ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় আধুনিক টেলিফোন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা চালু হবে। এতে জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তা বিষয়ক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
সূত্র আরও জানায়, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় ও বৈদেশিক পরামর্শ সেবা ক্রয়, টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ, ৮টি গাড়ি ভাড়া ও ৩টি গাড়ি কেনা হবে। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার কথা রয়েছে। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা, ঢাকা এবং বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট জেলাজুড়ে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি।
জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ৩৭০ কিলোমিটার রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। আট বছরের অগ্রিম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় সংরক্ষণ করা হবে। অপটিক্যাল ফাইবার লিজ (রেলওয়ে, পিজিসিবি, বিটিসিএল, স্যাটেলাইট চ্যানেল লিজ) সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ও নির্বাহ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের আরএডিপিতে বরাদ্দবিহীনভাবে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। গত ২২ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এটি অনুমোদন পায়।
কমিশন আরও জানায়, প্রকল্পটি সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করে পরিকল্পনা কমিশন।
একনেকে উপস্থাপনের সময় পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি মূল প্রকল্পের সহযোগী প্রকল্প হিসেবে দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অগ্রাধিকার পাওয়া প্রকল্প। এ প্রকল্পের জন্য অত্যাধুনিক ও উচ্চগতির ডেডিকেটেড এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।