ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

জেডটিই’র শর্ত ভঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোর্টে শুনানি

ডেস্ক রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2022-03-25, 12.00 AM
জেডটিই’র শর্ত ভঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোর্টে শুনানি

শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে চীনের বিশ্বখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেডটিই করপোরেশন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ইরানে পাচার করার অপরাধের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে শর্তারোপ করা হয়, তা ভঙ্গের কারণেই তাদেরকে আদালতে তলব করা হয়েছে। গত ৪ মার্চ টেক্সাস ফেডারেল আদালতে দায়ের করা তথ্য অনুসারে, সম্ভাব্য শর্ত লঙ্ঘনটি ভিসা জালিয়াতির একটি ‘কথিত’ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত।  
গত মার্চে প্রকাশ করা  একটি অভিযোগপত্রে নিউ জার্সির সাবেক জেডটিই গবেষণা পরিচালক এবং জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একজন অধ্যাপককে জে-১ ভিসা দিয়ে চীনা নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে আনার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়, যা জর্জিয়া টেকের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ এবং অধ্যয়নের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর চীনা নাগরিকরা নিউ জার্সিতে জেডটিই’র জন্য কাজ করতে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে,  অধ্যাপক জি-কুং চ্যাং, দোষী নয় বলে স্বীকার করেছেন। জেডটিই এর গবেষণা পরিচালক জিয়ানজুন ইউ-এর অবস্থান অস্পষ্ট। মামলায় জেডটিইকে অভিযুক্ত করা হয়নি।  
জর্জিয়ার নর্দান ডিস্ট্রিক্টে মার্কিন অ্যাটর্নির একজন মুখপাত্র মামলাটি বিচারাধীন থাকায় এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
ওয়াশিংটনে মার্কিন বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। অন্যদিকে, জেডটিই এর একজন আইনজীবীও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করেননি।
যদি জেডটিই এর শর্তসমূহ লঙ্ঘন করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে এর প্রভাবগুলো সুস্পষ্ট নয়। কিন্তু অতীতে জেডটিই মার্কিন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য ব্যাপক জরিমানা এবং অন্যান্য দণ্ড প্রাপ্ত হয়।
২০১৭ সালে টেক্সাসে মার্কিন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেডটিই ৮৯২ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়; কারণ আইন অনুযায়ী, ইরান এবং উত্তর কোরিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি প্রযুক্তি বিক্রির ওপর তখন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
পাঁচ বছরের তদন্তে জেডটিই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে দেশটির যন্ত্রাংশ কিনে, সেগুলোকে জেডটিই সরঞ্জামে প্রবেশ করানো মাধ্যমে অবৈধভাবে ইরানে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করে। তদন্তকারীরা উত্তর কোরিয়ায় পাঠানো টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামের ২৮৩ টি চালানের সন্ধান পায়।
সে সময়, জেডটিই তিন বছর সময়কালের শর্ত, একটি কমপ্লায়েন্স প্রোগ্রাম এবং একটি কর্পোরেট মনিটরের জন্য সম্মত হয়।
কিন্তু ২০১৮ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ জানায়, জেডটিই ভুল কাজের সাথে জড়িত নির্বাহীদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করার বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে এবং জেডটিইকে মার্কিন সরবরাহকারীদের সাথে ব্যবসা করা থেকে বিরত রাখতে নিষিদ্ধ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য জেডটিই ১ বিলিয়ন ডলার প্রদান, নেতৃত্ব পরিবর্তন এবং পরবর্তী ১০ বছর মনিটর করতে সম্মত হয়।
টেক্সাসের বিচারক ফৌজদারি মামলা এবং পর্যবেক্ষণ থেকে কোম্পানির সময়সীমা আরো দুই বছরের জন্য ২২ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।চীনের বিশ্বখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেডটিই করপোরেশন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ইরানে পাচার করার অপরাধের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে শর্তারোপ করা হয়, তা ভঙ্গের কারণেই তাদেরকে আদালতে তলব করা হয়েছে।
টেক্সাস ফেডারেল আদালতে গত ০৪ মার্চ দায়ের করা তথ্য অনুসারে, সম্ভাব্য শর্ত লঙ্ঘনটি ভিসা জালিয়াতির একটি ‘কথিত’ ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত।
গত মার্চে প্রকাশ করা  একটি অভিযোগপত্রে নিউ জার্সির সাবেক জেডটিই গবেষণা পরিচালক এবং জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একজন অধ্যাপককে জে-১ ভিসা দিয়ে চীনা নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে আনার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়, যা জর্জিয়া টেকের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ এবং অধ্যয়নের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর চীনা নাগরিকরা নিউ জার্সিতে জেডটিই’র জন্য কাজ করতে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে,  অধ্যাপক জি-কুং চ্যাং, দোষী নয় বলে স্বীকার করেছেন। জেডটিই এর গবেষণা পরিচালক জিয়ানজুন ইউ-এর অবস্থান অস্পষ্ট। মামলায় জেডটিইকে অভিযুক্ত করা হয়নি।  
জর্জিয়ার নর্দান ডিস্ট্রিক্টে মার্কিন অ্যাটর্নির একজন মুখপাত্র মামলাটি বিচারাধীন থাকায় এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
ওয়াশিংটনে মার্কিন বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। অন্যদিকে, জেডটিই এর একজন আইনজীবীও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করেননি।
যদি জেডটিই এর শর্তসমূহ লঙ্ঘন করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে এর প্রভাবগুলো সুস্পষ্ট নয়। কিন্তু অতীতে জেডটিই মার্কিন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য ব্যাপক জরিমানা এবং অন্যান্য দণ্ড প্রাপ্ত হয়।
২০১৭ সালে টেক্সাসে মার্কিন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেডটিই ৮৯২ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়; কারণ আইন অনুযায়ী, ইরান এবং উত্তর কোরিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি প্রযুক্তি বিক্রির ওপর তখন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।