পোল্যান্ডের সীমান্তে থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে বিশাল এক ইউক্রেনিয় সামরিক ঘাঁটিতে প্রায় ৩০টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে।সামরিক ঘাঁটিটি ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিভের কেন্দ্র থেকে ৬০ কিমি দূরে।লাভিভের আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ১৩৪ জন।
গতকাল (শনিবার) রাশিয়া সতর্ক করে যে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক বহর তাদের 'বৈধ টার্গেট'। পরদিনই পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে এই সামরিক ঘাঁটিতে এই হামলা হলো।প্রায় ৩৯০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ইয়াভোরিভ সামরিক ঘাঁটিতে নেটো বাহিনীর সাথে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী যৌথ মহড়া করতো। নেটো প্রশিক্ষকরা ইউক্রেনের সৈন্যদের প্রশিক্ষণও দিত এখানে।
হামলার সময় সেখানে বিদেশী কোনো সামরিক প্রশিক্ষক ছিলেন কিনা তা জানা যায়নি। তবে ফেব্রুয়ারিতেও মার্কিন সামরিক প্রশিক্ষকরা এখানে ছিলেন।বিশাল আয়তনের এই সামরিক ঘাঁটিতে প্রায় ১৮০০ লোকের বসবাসের জায়গা রয়েছে, তবে হামলার সময় কতজন সেখানে ছিল তা পরিষ্কার নয়।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেযনিকভ টুইট করেছেন, " ইইউ-নেটো সীমান্তের কাছে শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর এটি নতুন আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা।"
ইয়াভোরিভে বিদেশী যোদ্ধা, অস্ত্র?
বিভিন্ন মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে ইয়াভোরিভ সামরিক ঘাঁটিতে বিদেশী যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল এবং বিদেশ থেকে আসা অস্ত্র-সরঞ্জামের ঘাঁটি হিসাবে এটি ব্যবহৃত হচ্ছিল।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন এখানে বিদেশী প্রশিক্ষকরা কাজ করেন।
আহত বা নিহতদের মধ্যে বিদেশী বা প্রশিক্ষক রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে উদ্ধৃত করে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে হাজার খানেক বিদেশী যোদ্ধা যারা ইউক্রেনের হয়ে লড়াই করতে এসেছে তারা ঐ ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল।
ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আবারও দেশের আকাশসীমায় নো-ফ্লাই জোন ঘোষণার জন্য নেটো জোটের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।