কাবুলের যাত্রিবাহী মিনিবাস বিস্ফোরণে তাদেরই ভূমিকা রয়েছে, রবিবার একটি বিবৃতিতে তা স্বীকার করল ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। উল্লেখ্য, এই বিস্ফোরণে আফগানিস্তানের পরিচিত সাংবাদিক হামিদ সাইগনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করছেন সংবাদমাধ্যমের একাংশ। আবার একাংশের দাবি, তাঁকে খুন করেছে আইএস জঙ্গিরা। গত ১৩ নভেম্বর পশ্চিম কাবুলের দশত-এ-বারচি অঞ্চলে প্রবস বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে জনবহুল রাস্তা। আতঙ্কিত জনতা দেখেন, যাত্রিবাহী একটি মিনিবাসে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলছে।
এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন, গুরুতর আহত কম পক্ষে ছ’জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এ দিন জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি একটি সামাজিক মাধ্যম চ্যানেলে জানিয়েছে, বিস্ফোরণে মোট ২০ জন মারা গিয়েছেন। যদিও তালিবান মুখপাত্র জ়বিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা ২০ জনের থেকে অনেক কম। দশত-এ-বারতি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই হামলা চালিয়ে থাকে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশেষ করে সেখানকার শিয়া-হাজারা অধিবাসীদের উপরই হামলা চালানো হয় তা বিভিন্ন ঘটনায় দেখা গিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার বিস্ফোরণের পর পরই আফগানিস্তানের সাংবাদিক সংগঠন জানায়, দেশের অন্যতম পরিচিত সাংবাদিক হামিদ সাইগনি ছিলেন ওই বাসে।বিস্ফোরণে তিনি নিহত হয়েছেন। আফগানিস্তানের বহুল পরিচিত আরিয়ানা নিউজ়ে কর্মরত ছিলেন। যদিও পরে, অপর একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে যে কাবুলের উত্তরাংশে কোনও অজ্ঞাত স্থানে হামিদকে খুন করেছে আইএস জঙ্গিরা। আফগানিস্তানে তালিবান দখলের পরে আইএস জঙ্গিরা ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তালিবান সূত্রে খবর, গত তিন মাসে অভিযান চালিয়ে মোট ৬০০ জঙ্গিকে ধরা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
অন্যদিকে, মুক্তি পেলেন মায়ানমারের কারাবন্দি আমেরিকান সাংবাদিক ড্যানি ফেনস্টার। জুন্টার মুখপাত্র জানিয়েছেন, মায়ানমার ছেড়ে নিজের দেশে ফিরে যেতে পারেন ওই সাংবাদিক। গত শুক্রবার তাঁকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল মায়ানমারের সামরিক আদালত। ৩৭ বছরের ড্যানি ‘ফ্রন্টিয়ার মায়ানমার’ নামের একটি সংবাদসংস্থায় কর্মরত। গত মে মাসে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মায়ানমারে আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত বিল রিচার্ডসনের হস্তক্ষেপেই মুক্তি পেয়েছেন ড্যানি।