পোশাকের প্যাকেটের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস! হালফিলে কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষিতে এমনটাই সন্দেহ চিনের সরকারের। ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি চিনে শুরু হয়েছে বার্ষিক ‘অনলাইন শপিং’। বিপুল ছাড়ে বিকোচ্ছে পোশাক। আর প্রশ্ন উঠেছে সেই পোশাকের ‘হোম ডেলিভারি’ নিয়েই।
অক্টোবর মাসের শেষ পর্বে উত্তর-পূর্ব চিনের হেবেই প্রদেশে শিশুদের পোশাক প্রস্তুতকারী একটি সংস্থার তিন জন কর্মীর দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তার পরেই সেই কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই কারখানা থেকে যে যে প্রদেশে পোশাকের প্যাকেট পাঠানো হয়েছিল তার খোঁজ শুরু করে চিনা প্রশাসন। রাজধানী বেজিং থেকে প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার দূরের দক্ষিণ-পূর্বের গুয়াংজি প্রদেশ পর্যন্ত নানা অঞ্চলে পাঠানো কয়েক হাজার পোশাকের প্যাকেট পরীক্ষার কাজ শুরু হয়।
শুধু তাই নয়, হেবেই প্রদেশের ওই কারখানা থেকে যে পরিবারগুলিতে পোশাকের প্যাকেট গিয়েছিল তাদের সব সদস্যকেই আটক করে বিচ্ছিন্নবাসে পাঠানো হয়। বন্দি করা হয় পোশাকের প্যাকেট পরিবহণে জড়িত ব্যক্তিদের। এমনকি, ওই কারখানার পোশাক যে শিশুরা পরেছিল তাদের স্কুলগুলিও বন্ধ করা হয়। ওই শিশুদের সংস্পর্শে আসা অন্য পড়ুয়াদের পাঠানো হয় বিচ্ছিন্নবাসে।সন্দেহের তালিকায় থাকা কত জনের দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে, সে বিষয়ে কোনও সরকারি পরিসংখ্যান দেওয়া হয়নি। তবে বৃহস্পিতবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, মোট ৩৯টি এলাকায় সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে।