ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

পুরোনো খবর ছড়াচ্ছে একটি চক্র

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-10-19, 12.00 AM
 পুরোনো খবর ছড়াচ্ছে একটি চক্র

ঢাকার মিরপুরের একটি মন্দিরে এক ব্যক্তির ভাঙচুরের পুরোনো খবর ছড়িয়েছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কুমিল্লার ঘটনার পর দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই খবরকে এভাবে ছড়ানোর পেছনে স্বার্থান্বেষী মহল সক্রিয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, বিভ্রান্তি ছড়াতে যারা পুরোনো খবর ছড়িয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় ‘কোরআন অবমাননা’র খবর ছড়ানোর পর সেখানে উপাসনালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। এর জেরে গুজব ছড়িয়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং সবশেষ রংপুরে সাম্প্রদায়িক হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এমনকি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শিশু ধর্ষণ এবং তারপর মৃত্যুর গুজবও ছড়ানো হয়েছে।এই পরিস্থিতিতে গত দুদিন ধরে সনাতন ধর্মীয় একাধিক ফেসবুক গ্রুপ ও পেজে মিরপুরের মন্দিরে এক ব্যক্তির ভাঙচুরের ওই খবর ভেসে বেড়াচ্ছে। গত ১৭ অক্টোবর রাতে ‘গীতা পাঠ’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে এমনই এক পোস্ট দেওয়া হয়।

৬৫ হাজারেরও বেশি সদস্যের ওই পাবলিক গ্রুপে ‘খু শি’ নামে আইডি থেকে দেওয়া পোস্টে দাবি করা হয়, রাজধানীর মিরপুরের একটি মন্দিরে মিঠুন চক্রবর্তী নামে পরিচয় দিয়ে ভেতরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর চালিয়েছে রাশেদুল হাসান নামে এক ব্যক্তি। পরে ওই যুবককে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়।১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ‘আমরা হিন্দু সনাতনী’ নামে ৭৫ হাজার সদস্যের একটি পাবলিক গ্রুপেও এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ঘটনাটি ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির। সেদিন এ ঘটনার খবর প্রকাশ হয়েছিল বিভিন্ন পত্রিকায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ঢাকার মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করার অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। মন্দিরে প্রার্থনা করতে গিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করার অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।’

পুরোনো খবর নতুনভাবে ছড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিজুর রহমান  বলেন, ঘটনাটি ২০১৯ সালের। এতোদিন আগের ঘটনা কোনো স্বার্থান্বেষী মহল ফেসবুকে নতুনভাবে গুজব আকারে ছড়াচ্ছে। এ ঘটনায় কোনো জিডি কিংবা মামলা এখন পর্যন্ত হয়নি।জানতে চাইলে মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এ এফ এম মাহতাব   বলেন, ঘটনাটি ২০১৯ সালের। তখনকার লোকেরা এটা সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন। ২০১৯ সালের ঘটনা কেন এখন ভাইরাল হচ্ছে এটা নিয়ে কাজ করছে পুলিশের সাইবার ইউনিট। যারা ফেসবুকে এ ধরনের কাজ করছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।