জম্মু ও কাশ্মীরে ধারাবাহিক জঙ্গি হানা এবং অশান্তির মধ্যেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের গোয়েন্দা সংস্থা এবং পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন অমিত শাহ। বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্যই এই বৈঠক।বৈঠকে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধানরা রয়েছেন। রয়েছেন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী এবং রাজ্যগুলির পুলিশ প্রধানরাও। দুপুর ২টো থেকে শুরু হয়েছে বৈঠক। চলবে রাত ১০ পর্যন্ত।
চলতি মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন ১১ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন ভিনরাজ্য থেকে আসে শ্রমিক এবং ছোট ব্যবসায়ী। বেছে বেছে হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের নিশানা করছে পাক মদতেপুষ্ট জঙ্গিরা। রবিবার বিহার থেকে আসা দু’জনকে খুন করা হয়। শনিবার কুলগামে জঙ্গিদের গুলির শিকার হন এক বিহারি ফেরিওয়ালা এবং উত্তরপ্রদেশে থেকে আসা এক কাঠের মিস্ত্রি।
এর পাশাপাশি, নিরাপত্তা বাহিনীর উপরেও একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুঞ্চের জঙ্গলে গত আট দিনে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ন’জন সেনা নিহত হয়েছেন। পুঞ্চের জঙ্গলে গত সোমবার থেকে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। গত ১০ অক্টোবর জঙ্গিদের সঙ্গে গুলিযুদ্েেধ পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়। পরে জঙ্গিদের সন্ধানে ফের তল্লাশি শুরু হলে পুঞ্চের নার খাসের জঙ্গলে গত বৃহস্পতিবার আরও দুই সেনাকর্মী জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন। নিখোঁজ হন দু’জন। দু’দিন ধরে পুঞ্চের জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে ওই দুই সেনাকর্মীর দেহ উদ্ধার হয়।
হামলার ধরন দেখে সেনার অনুমান, এটি পাকিস্তান সেনা এবং বাছাই করা জঙ্গিদের নিয়ে গড়া ‘বর্ডার অ্যাকশন টিম’ (ব্যাট)-এর কাজ। গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক বার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি ভেঙে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)-য় গুলি ও মর্টারের গোলা ছুড়েছে পাক সেনা। সেনার অনুমান সেই সুযোগে বেশ কিছু জঙ্গি কাশ্মীর উপত্যকার ঢুকেছে। তারা অন্য রাজ্যেও নাশকতা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যগুলির গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সমন্বয় বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র।