নবমীতে যেন হলদে পাখি রানি মুখোপাধ্যায়। জমকালো হলুদ শাড়িতে সেজে বাড়ির পুজোয় এসেছিলেন তিনি। গত বছর অতিমারির কারণে আসতে পারেননি। দিদি কাজলের মতোই দু’বছর পরে বাপের বাড়িতে পা দিয়ে তিনিও আবেগতাড়িত। তার মধ্যেই তাঁর মনখারাপ। করোনা সংক্রমণ এড়াতে প্রতি বছরের মতো এ বছরে পাত পেড়ে দর্শনার্থীদের খাওয়ানোর আয়োজন নেই। সেই আক্ষেপ তিনি প্রকাশ করেই ফেলেছেন সাংবাদিকদের সামনে, ‘‘কাছের মানুষদের নিজের হাতে পরিবেশন করে খাওয়ানোর মজাই আলাদা। গত বারেও মিস করেছি। এ বারেও পারছি না।’’
রানি আসলেও এক মাত্র মেয়ে আদিরাকে দেখা যায়নি তাঁর সঙ্গে। পুজোর আড্ডায় তাই উঠে এসেছে তাঁর মেয়ের কথাও। ২০১৯-এ আদিরা মাত্র তিন বছরের। ওই বছরে সে দাদুর বাড়িতে এসেছিল মায়ের সঙ্গে। এবং ভাই-বোনদের সঙ্গে মিলে খুব মজা করেছিল। সে কথা আজও ভুলতে পারেননি ‘মর্দানি’ রানি। মেয়ের বদলে এ বছরে মায়ের সঙ্গী মেয়ের সে দিনের মজার স্মৃতি।শশধর মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজোয় এই প্রজন্মের রানি ছাড়াও এসেছিলেন কাজল, তনিশা, তনুজা, সর্বাণী। আমন্ত্রিত তারকাদের মধ্যে গায়ক শান এসেছিলেন তাঁর মাকে সঙ্গে নিয়ে। এসেছিলেন সস্ত্রীক অমিত কুমার, কুমার শানুর ছেলে জান কুমার শানু, সুমনা চক্রবর্তী, মৌনি রায়, দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়, গুরমিত চৌধুরী। তবে অন্যান্য বছরের মতো তারকাদের ভিড় এ বছর সংখ্যায় অনেকই কম ছিল।