দশমীর সন্ধ্যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর এমন ঘটনায় শোভন-বৈশাখীর ওপর বেজায় চটেছে শোভনের পরিবার। স্ত্রী রতœা ও শ্বশুর দুলাল দাস ছাড়াও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাঁদের আক্রমণ করলেন শোভন-পুত্র সপ্তর্ষি। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা চেষ্টা করছেন সম্পর্কটাকে রোমান্টিকভাবে উপস্থাপন করতে। কিন্তু, আসলে ওরা বেলেল্লাপনা করে বেড়াচ্ছেন।’’ সপ্তর্ষি আরও বলেন, ‘‘এসব করে আসলে উনি যেমন নিজেকে অপমান করছেন, তেমনই আমাদের পরিবারকেও আপমান করছেন।’’
পিতাকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের কথা স্মরণ করাতে চান পুত্র। সপ্তর্ষি বলেন, ‘‘উনি কলকাতার মেয়র ছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। তাই তাঁর কোনও কাজ করার আগে ভাবা উচিত,তাঁকে দেখে আগামী প্রজন্ম কী শিক্ষা পাবে। তাই আমার মনে হয় ওঁকে এমন কোথাও নিয়ে যাওয়া উচিত, যেখানে সামাজিকতা শেখানো যায়।’’তিন বছরের বেশি সময় শোভন তাঁর বেহালা মহারাণী ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়িতে থাকেন না। তাঁর বর্তমান নিবাস গোলপার্কের এক বহুতল। মায়ের সঙ্গে মহারাণী ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়িতেই থাকেন ঋষি। নিজের প্রোডাকশনের কাজ সামাল দিয়ে মায়ের সঙ্গেরাজনৈতিক পথচলা শুরু হয়েছে শোভন-পুত্রের। একাদশীর দিন সেই কাজ সামাল দিতে দিতেই আনন্দবাজার অনলাইনকে সপ্তর্ষি বলেন, ‘‘সিঁদুর খেলা দুর্গাপুজোয় হতেই পারে। কিন্তু, আমার একটা প্রশ্ন রয়েছে। দুর্গাপুজো হিন্দুদের উৎসব। আইনত যখন শোভন চট্টোপাধ্যায় এখনও বিবাহিত, তখন তিনি কী করে এমন একজনের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন, যিনি বর্তমানে অন্যের স্ত্রী। তাঁরও তো বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি!’’
সপ্তর্ষি বলেন, ‘‘শোভন চট্টোপাধ্যায় স্নান করে বেরোনোর পর কালী পুজো করেন। তিনি যখন হিন্দু ধর্ম মানেন, তখন এত বড় আইন কী করে ভাঙেন! দুর্গাপুজোয় মহিলাকে সর্বোচ্চ শক্তি হিসেবে আরাধনা করা হয়। আমরা বলি, সব মহিলার মধ্যে দুর্গা রয়েছেন। আজ তিনি দুর্গাপুজোয় নিজের স্ত্রীকে অপমান করে অন্যের স্ত্রীকে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন।এখানে তো উনি বেলেল্লাপনা করে বেড়াচ্ছেন।’’